২৩শে মার্চ লক ডাউনের ১ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে ১.০০ মিনিট নিরবতা পালন করবে ব্রিটেন।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি বয়ে ছড়িয়ে পরে সারা বিশ্বে। ভয়, ভীতি, উৎকন্ঠা, হা হা কার, মানুষ বেঁচে থাকার জন্য ঘর বন্ধি হতে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয় একের পর এক মানুষ। প্রতিটি দেশ মৃত্যু পুরীতে রূপান্তরিত হতে থাকে। ব্রিটেন তার মধ্য অন্যতম।
ব্রিটেনের মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিশ্বের সকল দেশের সাথে একের পর এর ফ্লাইট বন্ধ করে যোগাযোগ বিছিন্ন করা হয়। হাসপাতাল গুলিতে করোনা রোগী সামাল দিতে না পেরে নাইটএ্যাগেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন শহরে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করে করোনা রোগীদের সেবা এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
ব্রিটেনের এনএইচএস করোনাকালীন সময় ডাক্তার নার্স এবং সেবাকর্মীরা বা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারা জীবন বাজি রেখে সেবা দিতে দিয়ে অনেকেই মৃত্যু বরণ করতে দ্বিধা করেননি। তাদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোওয়া এবং ভালোবাসা।
করোনাভাইরস মহামারি থেকে বেঁচে থাকার জন্য ব্রিটিশ সরকার ২০২০ সালের ২৩ শে মার্চ জাতীয় লক ডাউন ঘোষনা করে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান বা মার্কেট ছাড়া সব কিছু বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
রেস্টুরেন্ট সহ ব্যাবসা প্রতিস্ঠান বন্ধ ঘোষনার পর সরকার সকল প্রতিস্ঠান রক্ষা করার জন্য শ্রমিকদের ঘরে বসে থাকা পরিবারকে সহযোগিতা জন্য বিভিন্ন অনুদান, গ্রান্ড, ফারলো , অর্থনৈতিক লোন সহ বিভিন্ন প্রনোদনা দিয়ে এক নতুন ইতিহাস সৃস্টি করে ব্রিটেন। এত এত অনুদান সহযোগিতা দেওয়া বিশ্বে বিরল। মানবিকতার দেশে এটাই অন্যতম প্রমান।
সেই প্রথম লক ডাউনের এক বছর পূর্তী হবে আগামী ২৩ শে মার্চ ২০২১ । এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করার জন্য সরকার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,”২৩শে মার্চ লক ডাউনের এক বছর পূর্তি সারা দেশ ব্যাপী এক যোগে ১২.০০ টায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হবে।এতে সরকারি বেসরকারি সংস্থা, সংগঠন ও ব্যাক্তি সবাই এক মিনিট নিরবতা পালন করবেন’”।
ফ্রি অন লাইন টক অর্গানাইজেশন “দি গড গ্রেইভ ফেস্তিভ্যাল” এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই দিনটি সবাই এক যোগে পালন করবে। ২২ শে মার্চ সন্ধ্যা থেকে যে যার মত করে ভির্চুয়াল মিটিং করতে পারবেন। শোক প্রকাশ করতে পারবেন তবে রাত ১২.০০ টায় একযোগে সারা দেশ জুড়েই করোনায় মৃত্যু ব্যাক্তিদের আত্ত্বার মাগফেরাত কামনা করে এবং পরিবারদের সমবেদনা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হবে,”।
এক কঠিন কঠোর নিয়ম নীতি পালনের পরও এবং এনএইচএস এর এত আন্তরিক সেবার পরও এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৩,২৫৯ জন। করোনায় গত শুক্রবার মৃত্যু ১৭৫ জনের এবং আক্রান্ত ৬,৬০৯ জন।
গত এক বছরে আবিস্কার হয়েছে কভিড-১৯ করোনা ভ্যাকসিন । এর ফলে মানুষ দেখছেন বেঁচে থাকার আশার আলো।এপর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ২৩.৩ মিলিয়ন ডোজ।ভ্যাকসিন দেওয়া অব্যহত থাকবে।
আসুন আমরা সবাই মিলে সরকারের এই ঘোষনার সাথে একাত্ততা প্রসন করি। সবাই মিলে করোনাভাইরস মহামারিকে মৃত্যুদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করি।