| | |

হজ্জ্ব পালনে যেতে অনলাইন সিস্টেম চালু।
বিপাকে হজ্জ্ব যাত্রীরা এবং দিশে হারা এজেন্ট গুলি।


মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।

সৌদি সরকার অনলাইন বুকিং কার্যকর করার পর মক্কায় হজযাত্রীর প্রত্যাশী ব্রিটিশ মুসলমানরা হাজার হাজার পাউন্ড হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।

ব্রিটেনের হজযাত্রীদের তাদের আগ্রহ নিবন্ধন করার জন্য একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে এবং কে হজ্জ্বে যাবে তা বেছে নেওয়ার জন্য একটি ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

কেউ কেউ ইতিমধ্যে হজ ট্যুর অপারেটরদের কাছে বুকিং দিয়েছেন এবং তাদের অর্থ হারাতে পারেন বলে আশংকা করছেন।

হজ সকল মুসলমানের জন্য একটি ধর্মীয় প্রয়োজন যারা এটির খরচ বহন করতে পারবে।

হজ্জ্ব ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং পাঁচটির মধ্যে দৈনিক নামাজ, রোজা, যাকাত এবং আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (সাঃ)কে একজন নবী হিসাবে বিশ্বাস করা।

সারাজীবনে একবার হজ্জ্বের খরচ প্রায় ৬,০০০ পাউন্ড থেকে ১০,০০০ পাউন্ড-এর বেশি এবং অনেক মুসলমান এর জন্য বছরের পর বছর সঞ্চয় করেন।

অনেক হজ্জ্ব যাত্রী দুই বছর ধরে তার বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিম্বা অন্য হাজীদের সংগে মক্কায় এবং মদিনা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

অনেকে স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টের কাছে তার আগ্রহ নিবন্ধন করেছিলেন এবং তার ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পূরণ করার জন্য খুব উৎসাহিত ছিলেন।

নতুন ডিজিটাল বুকিং সিস্টেম ব্যবহার করার বিষয়ে এসে অনেকের হজ্জ্ব যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

এখন অনেকেরই প্রশ্নঃ/

১/ কি ধরণের পরিষেবা পাবেন,

২/ যদি তারা সমস্ত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করতে সক্ষম হন,

৩/ ভ্রমণের জন্য কত খরচ হবে এবং

৪/ কিছু ভুল হলে কার কাছে অভিযোগ করবেন।

৫/ হজ্জ্ব পালন নিয়ম মাফিক হচ্ছে কি না ?

হাজারও প্রশ্ন হাজীদের মনে।

এতসব উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ডিজিটাল পোর্টালের মাধ্যমে তাদের নাম জমা দিয়েছেন যে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হজযাত্রা করতে চান তবে তার জন্য কতটা সময় প্রস্তুত করতে হবে তা নিয়ে চিন্তিত।

এজেন্সি গুলির দূঃস্চিতার শেষ নেই।

১/যারা সৌদি পরিষেবা সরবরাহকারীদের দেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া হবে কিনা।

২/উদ্বিগ্ন যে ২০২০ সালে তাদের ভ্রমণ পিছিয়ে দেওয়া মুসলিমরা যদি তাদের হজযাত্রা না করা হয় তবে বড় আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।

৩/ নতুন স্কিমের অধীনে কীভাবে এবং কীভাবে হজযাত্রীদের অর্থ সুরক্ষিত হবে তা নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন।

যুক্তরাজ্যে কতজন হজ ভিসা বরাদ্দ করা হবে তাও স্পষ্ট নয়। আগে প্রতি বছর প্রায় ২৫,০০০ ভিসা দেওয়া হতো কিন্তু এই বছর কে কে হজ্জ্ব করতে পারবেন সেইটা এখন বলা যাবে না। তবে হাজীরা আশায় বুক বেঁধে আছেন।

নতুন নিয়মে হজ্জ্ব পালনে যেতে অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়াতে যেমন বিপাকে হজ্জ্ব যাত্রীরা ঠিক তেমনি দিশে হারা এজেন্ট গুলি কেননা অনেক এজেন্সি গুলি সৌদিতে হাজীদের জন্য হোটেল বুকিং করে রেখেছে।


Similar Posts