শ্রমিক সংকটে ব্রিটেন।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
শ্রমিক সংকটের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে ব্রিটেনের কার্যক্রম। সব সেক্টরের চলছে শ্রমিকদের মহা সংকট।সাধারন শ্র্মিক থেকে শুরু করে ইন্জিনিয়র পর্যন্ত। নার্স, ডাক্তারদের সংকটকাল চলছে মারাত্মকভাবে।
“আরইসি”এর সিইও নেইল কাবেরী বলছেন, “ব্রিটেনের বড় বড় ৪০০ কন্স্ট্রাশন ফার্ম শ্রমিক সংকটের ফলে তাদের কাজ, মুখ থুবরে পরে আছে।এক দিকে ব্রেক্সিট অন্য দিকে লক ডাউন এর ফলে শ্রমিকরা কাজে আসছেনা যার কারনে কাজ হচ্ছে না। অনেকে চলে গেছেন ব্রিটেন ছেড়ে।নির্দিষ্ট সময়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভবনা নাই,”।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্রাটিজ (ওএনএস) গবেষনায় শতকরা ৪.৯ পারসেন্ট আন ইমপ্লয়মেন্ট যা সত্যিকার ভাবেই শ্রমিক সংকট বাড়ছে।
এই ভাবে শ্রমিক সংকট বাড়তে থাকলে ভবিষ্যত আরো কঠিন হবে। অর্থনৈতিক চাঁকা স্বচল রাখা সম্ভব হবে কি না এ বিষয়ে দু:স্চিন্তায় অর্থনীতি বিদরা।
কত জন শ্রমিক কাজে আছে এবং কতজন বেকার তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।
হসপিটালিটি সেক্টরে অর্থাৎ , রেস্টুরেন্ট , হোটেল, পাব, বারের শ্রমিকরা লক ডাউনের ফলে ঘরে বসে ফারলো পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অন্যান্য সেক্টরে প্রচুর পরিমানে শ্রমিক প্রয়োজন কিন্তু অনেকেই ঘরে বসে থাকবেন তবু অন্য সেক্টরে কাজে যাচ্ছেন না।
হিউম্যান রিসোর্স বডি (সিআইপিডি) এর কর্মকর্তা জেরিন ডেভিস বলেন,” স্টাটিজ এবং টার্গেট এই দুই এর মধ্য কোন সামন্জসতা নেই । দুই সেক্টরের মধ্যে রয়েছে বিশাল ব্যাবধান। পৃথক দুই প্রতিস্ঠানের মধ্যে সমতা ফিরে আসতে হবে”।এবং সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।শুধু স্ট্রাটিজ দিলেই হবে না টার্গেট পূরনে কাজ করতে হবে।
শ্রমিক সংকট কাঁটিয়ে উঠতে জব সেন্টার গুলি বা নির্দিষ্ট প্রতিস্ঠান গুলি এই লক ডাউনের মাঝেও ভিডিও ফোনের মাধ্যমে শ্রমিকদের ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যাবস্থা করছেন।কাজে নিয়োগের ব্যাবস্থা অব্যহত আছে।
বেশীর ভাগ শ্রমিকই চান কম পরিশ্রমে বেশী পয়সা এবং আরামের কাজ। কস্টের কাজে তেমন আগ্রহ নেই।বিশেষ করে কনস্ট্রেকশনের কাজ। অথচ এই কাজে অন্য সেক্টরের সাধারন শ্রমিকের চেয়ে অনেক বেশী বেতন।
এনএইচএস এর নার্স, ডাক্তার সহ অন্যান্য শ্রমিকদের সংকটে ব্রিটেনের সেনাবাহিনী সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
অনেক অদক্ষ বা ট্রেনিং বিহীন নার্সরা ও এনএইচএস এ সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ বাহিনীতে ও সংকট দেখা দিয়েছে। চলছে নিয়োগ প্রকৃয়া । আপনিও অংশগ্রহন করতে পারেন দেশ সেবায়।