| |

ব্রিটেনে লিভিং কস্ট সমস্যা সহ সকল সমস্যা গুলি একিভূত হওয়ায়, বদলে যেতে পারে ৫ই মের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল।


মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশে নির্বাচন এলেই পাওয়া না পাওয়া নিয়ে জনসাধারন বা ভোটারদের মধ্যে হিসেব নিকেশ শুরু হয়। হোক সেটা ধনী কিম্বা দরিদ্র দেশ।

আগামী ৫ই মে ২০২২ সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে স্থানীয় কাউন্সিলের নির্বাচন অনুস্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে। বরারবারের মতই ক্ষমতাশীন দলের উপর দায়ভার পরবে এটাই স্বাভাবিক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণদের মতে জনসাধারন যে সকল সমস্যা তুলে ধরে তাদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমনঃ-

১/ লিভিং কস্ট ক্রাইসেস বা জীবেনযাত্রা ব্যায় ভার সমস্যা।

২/ এনার্জি বিল বা দাম বৃদ্ধি।

৩/ হাউজিং সমস্যা ।

৪/ এনএইচএস সমস্যা,

৫/ কেয়ারার সমস্যা,

৬/ এডুকেশন

৭/ ক্রাইম ও হত্যারান্ড বৃদ্ধি,

৮/ বর্তমানে দাঁত বা ডেন্টাল সমস্যা যোগ হয়েথেকে।

এই সকল সমস্যাগুলি একিভূত হয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বীকার করেছেন যে জীবনযাত্রার ব্যয় সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের সহায়তা যথেষ্ট নয়, তবে বলেছে যে এখন আরও পদক্ষেপ না নিলে জিনিসগুলি আরও খারাপ করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী ক্রমবর্ধমান জ্বালানি এবং এনার্জি বিলের সাথে লড়াইরত পরিবারগুলিকে সহায়তা করার জন্য সরকারের আরও কিছু করার আছে স্বীকার করে তিনি বলেন,”যে মুদ্রাস্ফীতি আরও খারাপ না করার জন্য মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে এটি করা গুরুত্বপূর্ণ। লেবার তাকে জীবন সংকটের খরচ এর জন্য অভিযুক্ত করেছে,”।

রাজনৈতিক দলগুলি ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের স্থানীয় নির্বাচনের আগে এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সরকারের জন্য জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে তর্ক করছে৷

মূল্যস্ফীতি ৩০-বছরের সর্বোচ্চ ৭%-এ রয়েছে, যা খাদ্য ও এনার্জির দাম বৃদ্ধির কারণে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং এই বছরের শেষের দিকে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকার একটি কাউন্সিল ট্যাক্স রেয়াত এবং শক্তি বিলের উপর পরিশোধযোগ্য ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে, কিন্তু খরচের সাথে সাহায্য করার জন্য এখন আরও এগিয়ে যাওয়ার কোন সুপরিরল্পিক উদ্দ্যোগ গ্রহন করেনি।

কোন একটি সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক ভাবে সমাধানের উদ্দ্যোগ গ্রহন করে নাই বলেই জনসাধারনের মনে ক্ষোপ দেখা যাচ্ছে।এ কারনে পাল্টে যেতে পারে নির্বাচনের ফলাফল।

সেই সাথে করোনাভাইরাস মহামারির সময় প্রধানমন্ত্রী ও চ্যান্চেলার লকডাউনের আইন ভংগ করে জনসাধারনের আস্থা নস্ট করেছে এই কারনে ৫ই মের নির্বচনে স্থানীয় নির্বাচনে ফলাফল কি হয়? সেই অপেক্ষায় অপেক্ষমান আমরা সবাই।


Similar Posts