ব্রিটেনে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি,আগামী শীতে হতে পারে আরো কঠিন লক ডাউন।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর অ্যান্থনি কস্টেলো বলেন, এক মাসের মধ্যেই প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাবে। শ্যাডো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিক থমাস-সিমন্ডস বলেন, আর কোনো দেরি হলে সেটি অনেকগুলো পরিবার ও ব্যবসার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে।সরকারের ওপর এই ভুলের দায় বর্তায়।
সীমান্ত নিয়ে তাদের বেপরোয়া নীতির কারণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখন ব্রিটেনে পৌঁছেছে এবং ছড়াচ্ছে। যদি এ হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে একদিনে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাবে। বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী মাসেই ব্রিটেনে প্রতিদিন কোভিড শনাক্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হার বৃদ্ধি পাবে।
নতুন শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস উদ্ভূত হওয়ার অর্থ হ’ল ব্রিটেন্র জন্য জন্য শীতকালে ” আরও লকডাউনের সম্ভাবনা রয়েছে।বলে ধারনা করছেন বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সির (সেজে) সদস্য প্রফেসর কলম সেম্পেল বলেন,”যে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা বছরের শেষের দিকে এন্ডেমিক ভাইরাসগুলির ঝুঁকিতে পড়বে,”।
ব্রঙ্কিওলাইটিস নামক একটি রোগের বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি, এবং শিশুদের এবং দুর্বল বৃদ্ধদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সম্প্রদায়ের বৃদ্ধি, অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসগুলিতে বেড়ে গেছে, যার জন্য আমাদের ভ্যাকসিন নেই।
“সুতরাং সে কারণেই আমরা মোটামুটি জুলাই, আগস্ট এবং তারপরে শীতের একটি মোটামুটি সময়কালের পূর্বাভাস দিই।”
অধ্যাপক স্যাম্পল এটিকে “শীত কালীন লক ডাউন হিসাবে অভিহিত করেছেন,”।
হেল্থ মিনিস্টারের অফিস থেকে বলা হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের মতো না হলেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দেখেই লকডাউন খুলতে হবে। প্রয়োজন হলে আগামী শীত পর্যন্ত চলমান লকডাউন রাখতে হবে।আক্রান্ত ও হাসপাতালের ভর্তির সংখ্যা বিবেচনা করে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বিধিনিষেধ আরো কঠোর করতে হবে।