| |

ব্রিটেনে আরো ৫১টি দেশের, ভ্রমনের নিষধাজ্ঞা প্রত্যাহার।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

করোনাভাইরাস মহামারির থেকে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ব্রিটিশ সরকার লকডাউন দিয়েছিলো। করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে আসলে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে বিছিন্ন হয়ে পরে বৃটেন। যে সব দেশে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার উপর নির্ভর করে ট্রাফিক সিগনালের মত লাল, এ্যান্বীর ও সবুজ করা হয়।এই ভাবেই বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা ব্রিটেনে আসেন এবং তালিকা অনুযায়ী যাত্রীরা কেউ হোটেল কুরাইন্টান, কেউ হোম সেল্ফ আইসোলেশনে থাকেন। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করছেন না।

গত ৪ঠা অক্টোবর থেকে ১২ দেশের লালা তালিকা থেকে এ্যাম্বার তালিকায় আনা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।হোটেল কুরাইন্টাইন তুলে নেওয়ার সাথে সাথে অর্থাৎ এ্যাম্বার এ আসার সাথে সাথে বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনের মধ্যে যাতায়াতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছ বহুগুন।এত দিন প্রয়োজন থাকলেও কেই হোটেল কুরাইন্টাইন এবং অতিরিক্ত £২২৮৫ পাউন্ড খরচের জন্য যাত্রা বিরত রাখেন।এখন আবার সবাই যাতায়াত শুরু করেছেন।

বৃটিশ ফরেন সেক্রেটারি লিজা টুর্স বলেন,” ৫১ টি দেশ থেকে ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব নিয়মেই চলে তবে আন্তর্জাতিক ভাবে সেই দেশের করোনার আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার উপর নির্ভর করে লাল, এ্যাম্বার এবং সবুজ করা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমার সাথে সাথে তালিকা ও পরিবর্তন হচ্ছে সেই সাথে করোনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই যাতায়াতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে,”।

ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি গ্রান্ট সাপস বলেন,” ২২শে অক্টোবর থেকে ব্রিটেনের স্কুল গুলিতে হাফ ট্রাম স্কুল হলিডে শুরু হবে। এর মাঝে ভ্রমনের নিষধাজ্ঞা তুলে নিলে অনেকেই স্বপরিবার আনন্দে হলিডে পালন করতে পারবেন,”।

ভ্রমনের জন্য PCR সবার জন্য প্রযোজ্য। লাল তালিকা তুলে নেওয়া হলেও সকল যাত্রীকে অবশ্যই শতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সরকারি সকল নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

পর্যায়ক্রমে আরো ৪২ টি দেশ থেকে ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।


Similar Posts