দ্বিতীয় দফার লকডাউনে ব্রিটেন


দ্বিতীয় দফার লকডাউনে ব্রিটেন

করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবেলায় ইংল্যান্ডে দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে। ডিসেম্বর ২ তারিখ পর্যন্ত চলবে।

করোনাভাইরস মহামারির আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকিত সরকার, জনসাধারণ, এনএইচএস সহ সবাই। যে কোনভাবেই হোক এই করোনা থেকে রক্ষা পেতে হবে। জনসাধারণকে রক্ষা করার জন্য লক ডাউনই হচ্ছে সর্বশেষ পথ। এর মধ্যে  ৩ স্তরের তালিকা করলেও তেমন ফল প্রসু হয় নাই। এ কারনেই বিজ্ঞানীদের মতামত বা নির্দেশনা গ্রহন করছে সরকার। বিজ্ঞানীরা আগেই পূর্বাভাস দিয়ে ছিলেন। শীতকালে করোনাভাইরসে আরো বেশী মৃত্যু করবেন। জনসাধারন কে রক্ষার জন্য দ্বিতীয় লক ডাউন ঘোষণা করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিলো না তার হাতে। তিনি বলেন, মেডিকেল ও নৈতিক বিপর্যয় থেকে এনএইচএস কে রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত। তিনি মনে করেন এর ফলে আগামী ক্রিসমাসে পরিবারগুলো  যাতে জড়ো হতে পারবেন সেটা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার থেকে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, রেস্টুরেন্ট ও পাব ২রা  ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। তবে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি চালু থাকবে।
২রা ডিসেম্বরের পর আবারো টায়ার সিস্টেমে ফিরে আসবে ইংল্যান্ড। বরিস জনসন আশা করেন, বড়দিন সবাই মিলে উদযাপন করতে পারবেন।
একই সাথে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বেতনের ৮০ ভাগ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্বের  ফার’লো এর নিয়মে পাবেন।

লকডাউনের নতুন নিয়মে লোকজনকে কোন কারন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন ঘরে থেকে যদি কাজ কিংবা লেখাপড়া সম্ভব না হয় তাহলে তিনি বাইরে যেতে পারবেন।

শারীরিক অনুশীলনের জন্য ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে। এসময় ঘরের অথবা বাইরের একজনকে সাথে রাখা যাবে।

তাছাড়া ঘরের বাইরে কিংবা ভিতরে যেকোন ধরনের মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।

পাব, বার, রেস্টুরেন্ট এবং অপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র টেইকওয়ে ও কালেকশন বা ক্লিক এন্ড কালেক্ট  রিটেইল চালু থাকবে। নির্মান সাইট এবং উৎপাদন কাজের জায়গা খোলা থাকবে।
যদি বাবা-মা পৃথক হয়ে বসবাস করেন, সেক্ষত্রে তাদের শিশুরা ঘরের বাইরে গিয়ে বাবা-মার সাথে দেখা করতে পারবে।

ক্লিনিক্যালি দূর্বল লোকদের কিংবা ৬০ বছরের উর্ধে যাদের বয়স তাদেরকে বিশেষ যতবান হতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় (শনিবার) ব্রিটেনে করোনায় আরো আক্রান্ত হয়েছে ২১,৯১৫ জন। যা গত কালের চেয়ে প্রায় ২৫০০ জন কম। আর গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে আরো ৩২৬ জনের। মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৫৫৫ জন। ব্রিটেনে মোট আক্রন্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষনা আবার ও ঘরে থাকুন। নিজে বাঁচুন অপরকে বাঁচতে সহযোগিতা করুন।


Similar Posts