জুম্মাহর নামাজ শেষে কবরস্থানে বিশেষ দোওয়া।
মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।
একটি মাস দেখতে না দেখতে চলে গেলো।দেশে এসে চারটি শক্রবার পেলাম। আসা ছিলো প্রতিটি শক্রবার বাবা মার কবরস্থানে যেয়ে দোওয়া করবো।কিন্তু হয়ে উঠে নাই। তবে প্রথম এবং তৃতীয় শক্রবার দুইটি জুম্মাহ অবশ্য বাবা মার কবরের পাশের মসজিদে নামাজ আদায় করে মানিকদী কবরস্থানে গিয়ে দোওয়া করেছি। আল্লাহ যেনো তাদের কবরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
দ্বিতীয় শক্রবার বড় ভাতিজা জাহাংগীর আলম মৃধা বিপুর সাথে আমাদের গ্রামের আইলকুন্ডি আল হেরা জামে মসজিদে নামাজ আদায় করে মসজিদ উন্নয়নের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছি। আপনাদের সবার সহযোগিতায় ইন্সা আল্লাহ মসজিদটি পূননির্মান হবে।
এই সফরের শেষ শক্রবার বনানী কবরস্থানের মসজিদে জুম্মাহর নামাজ আদায় করে আমার শশুড় জায়দুর রহমান সিটি ব্যাংকের সবেক ভাইস প্রেসিডন্ট , দাদী শাশুড়ী ও ছোট শালার ছেলে এই কবরস্থানে শায়িত আছেন। নামাজ শেষ তাদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বিশেষ দোওয়া করলাম আল্লাহ যেনো সকল কবরবাসীকে মাফ করে দেন।
আপনারা জানেন বনানী কবরস্থান ঢাকার মধ্যে সবচেয় অভিজাত এলাকায় যেখানে সাধারন মানুষের কবরস্থানের কোন সুযোগ নেই। অতি সুপরিচিত এখানে বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট , উর্ধতন কর্মকর্তা সহ বিশিস্ট বা (VIP)জনদের এখানে দাফন করা হয়।
হরতাল ও অবরোধের কারনে অনেক দাওয়াৎ রক্ষা করা এবং অনেকের সাথে দেখা করতে পারছি না বলে দূঃক্ষিত।আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।আবার আসলে দেখা হবে। তবে যে সব কাজের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে এসেছিলাম। তার ৮০% কাজই করতে পেরেছি এ জন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি।
পবিত্র জুম্মার দিনে সবাই প্রাণ খুলে দোওয়া করবেন যাতে আমার বাব,মা, শশুড় সহ আত্বীয় স্বজন যে যেখানে কবরবাসী হয়েছেন তাদের সবাইকে যেন আল্লাহ কবর আজাব মাফ করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
আমরা যারা জীবিত আছি আল্লাহ যেনো সুস্থ্য রাখেন। সকল বালা মুসিবত থেকে হেফাজত রাখেন।আমিন।