| |

ঈদের দিনে ক্লাপটন সমূদ্র সৈকতে।


মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।

ঈদ মানেই আনন্দ। আর আনন্দ কখনো কখনো বয়ে উঠে মহা আনন্দের। যদি সেটা হয় আত্বীয় স্বজন এবং পরিবারের সাথে।

এবারের ঈদটি কেঁটেছে মহা আনন্দে। ঈদের দিন ছুটি পাওয়া এক মহা আনন্দ ঈদ কেঁটেছে।আমি একজন সংবাদকর্মী। চ্যানেল এস এর নিউজে কাজ করি। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ভাগ্যক্রমে এবার শনিবার ঈদ। তা না হলে ঈদের দিন অবশ্যই ঈদের নামাজের জামাত গুলি কভার করে নিউজ সংগ্রহ করতে হতো। যাইহোক ছুটি থাকায় আমার সাথে সাথে পরিবারের সবার আনন্দের মাত্রা অনেক গুন বেড়ে গেলো।

বড় মেয়ের বিয়ের পর এইটা প্রথম কুরবানীর ঈদ। তাই বিয়াই বাড়িতে যেতে হবে।

ঈদের দিনের একটি ছোট্ট পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু সমূদ্র সৈকতে যাবো এই পরিকল্পনা ছিলো না হঠাৎ করেই পরিকল্পনা গ্রহন করে আমার একমাত্র ঝিয়ারি (জামাইয়ের বোন)।

আমি সব ঈদের বাসার কাছে সালমন লেইনের লক্সলি মসজিদের ৮.৩০ এর জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করে কাজে যাই। এবার ও সেই অভ্যাসটা বলবৎ রেখেছি। ঈদের নামাজ আদায় করে বাসায় এসে পরিবার সহ মাইল এ্যান্ড স্টেডিয়ামে যাই। সেখানে জামাত ৯.৩০ মিনিটে। বাসা থেকে হেঁটে হেঁটে গিয়েছি।বন্ধু বান্ধব এবং সাংবাদিক সহকর্মীদের সাথে দেখা এবং কুলাকুলির এক অন্যরকম অনুভুতি।

বাসায় এসে বিয়াই বাড়ি যাওয়ার জন্য ছেলে মেয়ে এবং স্ত্রী পোষাক পরিধান করে রেডী হয়।বিয়াই বাড়িতে যাবো একটি কাঁঠাল না নিলে কি হয়! কাঁঠাল কেনার জন্য সোজা ব্রিট বাজারে গেলাম ঈদের দিন সকালে বন্ধ। মনে হলো “ঈদের দিন ছুটি চাই “ সামাজিক ক্যাম্পেইনের একটি সফলতা।এর পর হুয়াইট চ্যাপেলে গেলাম সেখানেও বেশীর ভাগ সপ বা গ্রোসারি বন্ধ তবে হাটবাজার খোলা সেখান থেকে কাঁঠাল সাথে মুড়ি নিয়ে চললাম বিয়াই বাড়ি।

প্রবাসে জীবনে দীর্ঘ প্রায় ৩ত বছর পর ঈদের দিন নিজ আত্বীয় বাডিতে বেড়ানো এক অন্য রকম অনুভূতি।

বিয়াই বাড়ী দুপুরের খাবার যদিও যেতে যেতে দুপুর গড়িয়েছে। বিয়াই থাকেন সাফকে। খাওয়া দাওয়ার পর বিয়াই বিয়ানের সাথে খোশ গল্প এবং ছেলেমেয়া তাদের বিয়াই বিয়ানের সাথে গল্প করার কিছুক্ষন পর ঝিয়ারি বললো চলেন ক্লাক্টন সি বিচে যাই।

এই আনন্দ ধরে রাখার কোন উপায় আছে কি?

সাথে সাথে সবাই লাফিয়ে উঠলো।কে কোন গাড়িতে যাবে? এ নিয়ে ও বেশ মজা করলো ছেলেতো এক দৌড় দুলাভাইর গাড়িতে উঠে গেল। একমাত্র ভাইয়ের জন্য আমার বড় মেয়ে আমাদের গাড়ি যেতে হলো সে এক মহা আনন্দঘন ক্ষন।

মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ মিনিটের ড্রাইভ। ৬টা বেঁজে গেছে কার পার্কিং ও তখন ফ্রি। কার পার্কিং করে সমূদ্রের কাছে যেতেই মুক্ত হাওয়ায় প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠলো। বিকেল হওয়াতে সমূদ্রের নুনা পানিতে গোসল করা হয়ে উঠেনি। কিন্তু মনোরম পরিবেশে এবং সমূদ্রের পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়ানোর মজাই ভিন্ন।

সমূদ্রের নামার মূল রাস্তায় একটি সুন্দর চত্তরে ফুল দিয়ে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে এককথায় চমৎকার। এর পর বোট পিয়ার , এই পিয়ারে বিশাল চরক গাছ বা ছোট্ট লন্ডন আই সহ শিশুদের এবং বড় দের বিভিন্ন খেলাধূলার ব্যাবস্থা অত্যান্ত চমৎকার।রাস্তার পাশ দিয়ে বহু শপ এবং হোটেল মোটেল এবং রেস্টুরেন্ট। টুরিস্টদের আকৃষ্ট করার সবধরনের আয়োজন এখানে বিদ্যমান।

এই পিয়ার দিয়েই কাঠের বিশাল ব্রিজ বা পুল সমূদ্রের ভিতরে বহু দূর পর্যন্ত বৃস্তৃত। এই ব্রিজের শেষ প্রান্ত পর্য্ন্ত পৌছলে। যে কেউ যে কোন বয়সে রামান্টিক হয়ে উঠবেন। সত্যই এক সুন্দর সমূদ্র সৈকত ক্লাক্টন সমূদ্র সৈকত।


Similar Posts