ঈদে নতুন জামা চাই ই চাই।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ঈদ মানেই আনন্দ,
ঈদ মানেই খুসি।
নতুন জামা ছাড়া ঈদ বড়ই বেমানান। ঈদ হবে নতুন জামা নেই তবে সে ঈদ হবে নিরানন্দ। ছোট বড সবার কাছেই ঈদে নতুন জামা এক মহা আনন্দের।
ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের কাছে আরো বেশী আনন্দের।
দেশে কিম্বা প্রবাসে ঈদ সবার জন্য আনন্দের। প্রবাসে কিছু কিছু দেশ আছে যেখানে সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা খুবই কম সেই সব দেশে ঈদ তেমন জমে না উঠলেও ব্রিটেন কিন্তু সেদিক থেকে ভিন্ন।ব্রিটেনে ঈদ পার্বন বলেন আর বৈশাখী মেলা কিম্বা অন্য ধর্মের যে কোন অনুস্ঠান বা উৎসব কোন কিছুরই কমতি থাকেনা।
সব দেশের সব ধর্মের এবং সব দেশের সব ধরনের জাতীয় উৎসব গুলি ব্রিটেনে সুন্দর ও স্বাবলীল ভাবে পালন করা হয়।একে সরকারি কোন বাঁধা তো নেই ই বরংচ নিয়ম অনুযায়ী আপনি সরকারের কাছে বা স্থানীয় কাউন্সিলে আবেদন করতে অর্থনৈতিক , প্রশাসনিক সহ সব ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়।
ব্রিটেনে ঈদের কেনাকাঁটা বা ঈদ শপিং পৃথিবীর যে কোন দেশকে হার মানায়।শুধুই যে ঈদ তা নয় যে কোন উৎসবের আগেই জমে উঠে মার্কেট গুলি।ঈদে নতুন জামা শুধু যে শিশুদের তা নয় সকল বয়সীদের জন্য ঈদে নতুন জামা মহা আনন্দের।
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে লক ডাউন এ জন্য গত বছরের ঈদ শপিং বন্ধ ছিলো কিন্তু এ বছর লক ডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় ঈদ মার্কেট গুলি পুরোদমে জমে উঠেছে। যদিও করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারি গাইড লাইন্স বা নিয়ম মেনে কেনাকাঁটা করার কথা থাকলেও কাস্টমারদের উপচে পরা ভিরের কারনে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
ঈদের মার্কেট গেলে আপনি ভুলেই যাবেন করোনা নামের কোন মহামারির আছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আপনিও অসুস্থ্য হতে পারে এমন কি মৃত্যুও হতে পারে। তখন কোথায় থাকবে আনন্দ কি হবে আপনার পরিবারের। কিন্তু ঈদে নতুন জামা চাই ই চাই। নতুন জামা কিন্তে হবে যেতে হবে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে।
ঈদ শপিং অনেকে পরিকল্পনা করে আগেই করে ফেলেছেন। এবং এখন শপিং করতে এসে অনেক স্বচেতন মানুষ শপিং না করে ফিরে যাচ্ছেন। জীবনে বেঁচে থাকলে ঈদ পাওয়া যাবে। কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষই মনে করেন ঈদে নতুন জামা না হলে ঈদটা মাটি হয়ে যাবে । ঈদে নতুন জামা চাই ই চাই।
করোনার কথা মাথায় থাকলেও শখের কথা চিন্তা করে ঈদে নতুন জামা কেনার জন্য এক এক দোকান থেকে অন্য দোকান এবং এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটে বেড়াচ্ছে কাস্টমাররা।অনেক চলে যাচ্ছেন নাম করা শপিং মল গুলিতে। কেই বা কিনেছেন জামা কাপড় , কেই বা দিতো কেউবা স্বর্ন অলংকার। সাথে খাবারে শপিং তে আছেই। প্রতিটি বাসায় রান্না হবে মজাদার খাবার।তবে এখানে পোষাকের বেশী গুরত্ব।
ইস্ট লন্ডনের কথা যদি বলেন তবে গ্রীন স্ট্রিট সবার পছন্দের সেরা মার্কেট এর পর ইলফোর্ড লেইন, হুয়াইট চাপেল, বেথনাল গ্রীন। স্টার্টফোর্ড শপিং সেন্টার সারা বছরই জমজমাট। সাউথ হল রয়েছে বিশাল বিশাল মার্কেট। ব্রিটেনের প্রতিটি শহরেই জমে উঠে ঈদের শপিং। বিশেষ করে যে সব এলাকায় মুসলিমদের বসবাস। সেই সব এলাকায় মার্কেট গুলিতো জমে উঠেই। ভালো মার্কেটিং এর জন্য কেউ কেউ ছুটে চলেন বহু দূরের কিম্বা অন্য শহরের মার্কেট গুলিতে।
ব্রিটেনের মার্কেট গুলিতে অবশ্য একটি বিশাল সুবিধা আছে ঈদ উপলক্ষে ,পুজা কিম্বা বড় দিনের শপিং এর সময় সেইল বা ডিস্কাউন্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া এক দামই বেশী কোথাও কোথাও দামাদামী করলে খুব সামান্য কম বেশী হয়। তাই কাস্টমারদের ভয় তেমন নেই।
অথচ বাংলাদেশ পুরোপুরি উল্টো ঈদ বা যে কোন উৎসব এলে দামতো বাড়বেই সাথে আছে দামাদানী কে কত চাইতে পারেন কে কত কমে কিন্তে পারবেন। একেক মার্কেটে একেক দাম সেই সাথে কার চাপার জোড় যত বেশী যে খালাম্মা বা আপা কিম্বা ভাইয়া বলে ডেকে ডেকে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে পারেন তাঁরাই হচ্ছেন সফল ব্যাবসায়ী।
যে যাই বলুক ঈদে আমার নতুন জামা চাই। ঈদে নতুন জামা গায়ে দিয়ে নামাজ আদায় করা এবং পরে আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। ঈদের আনন্দে আমরা সবাই আনন্দিত।
নতুন জামা বা ঈদের পোষাকে ঈদ হয়ে উঠুক আনন্দময়। তবে করোনাভাইরাস মহামারি থেকে নিজে সুরক্ষিত রাখুন অন্য সুরক্ষিত রাখতে সহযোগিতা করুন। মুখে মাক্স পড়ুন, দূরুত্ব বজায় রেখে সরকারি নিয়ম মেনে ঈদ উৎযাপন করুন।
সাইকে ঈদ শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক।