(ULEZ) এলাকার অন্তরভুক্ত হচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস ।
পরিবেশ রক্ষায় বায়ু দূষন বন্ধ ঘোষনা।-লন্ডন মেয়রের।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
গত শুক্রবার নেটলে প্রাইমারি স্কুল পরিদর্শনের সময় লন্ডন মেয়র সাদিক খান বলেন,”পরিবেশকে বায়ু দূষন মক্ত রাখতে এবং আগামীদিনের শিশুদের জন্য নির্মুল পরিবেশ ও সুস্থ্য আবহাওয়া যাতে শিশুরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারে সেজন্যই সেন্টার লন্ডনের এডিয়াকে আরো বৃহৎ করা হচ্ছে।এই এলাকায় পুরাতন কোন গাড়ী চলাচল নিষিধ করা হচ্ছে। এবং এই নির্দিষ্ট এলাকায় প্রবেশ করলে ইউলেজ চার্চ দিতে হবে £১২.৫০”।
আগামী বছর ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশী অধুষ্যিত টাওয়ার হ্যামলেটস সেন্ট্রাল লন্ডনের সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে গোটা বারা আলট্রা লো এমিশন জোনের (ইউলেজ) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
এজন্য:
১/ একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির গাড়ি ছাড়া এই এলাকায় অন্য কোনো গাড়ি ফ্রি চালানো যাবে না।
২/ প্রতিবার চালানোর জন্য নির্ধারিত চার্জ £১২.৫০ পাউন্ড পরিশোধ করতে হবে।
৩/ তাই টাওয়ার হ্যামলেটসে পুরনো গাড়ির দিন শেষ হয়ে আসছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও এনিয়ম অব্যহত থাকবে। পুরাতন গাড়ী হলে ইউলেজ চার্চ দিতে হবে। তাই নতুন গাড়ী কেনার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) টাওয়ার হ্যামলেটস বারার মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ব্যাপারে প্রচারণা শুরু করেছে। আর মাত্র ১০ মাস পর এই এলাকার গাড়ি মালিকদের ওপর ‘ইউলেজ’ তীব্র প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এই সময়ের মধ্যে পুরনো গাড়ি পরিবর্তন করে আলট্রা লো এমিশন স্ট্যান্ডার্ড গাড়ি কেনার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
লন্ডনে বায়ু দুষণের কারণে মানুষের মধ্যে ফুসফুসের জটিলতা, হৃদরোগ ও অ্যাজমার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। লন্ডনের শিশুরা প্রতিনিয়ত দুষিত বায়ু নিচ্ছে। তারা ছোট ফুসফুস নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে।
সড়ক পরিবহন হচ্ছে বায়ু দুষণ ও মানুষের স্বাস্থ্যহানীর একটি অন্যতম কারণ। লন্ডনের বাসিন্দারা যাতে বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন-এ জন্যই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী বছর ২০২১ সালের ২৫শে অক্টোবর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। প্রর্যায়ক্রমে নর্থ সার্কোলার রোড এবং সাউথ সার্কোলার রোড পর্যন্ত ইউলেজ এর আওতায় আনা হবে ।