| | |

গাজায় নিহত ১৪২জন সাংবাদিক এবং বিশ্বের নির্যাতিত হচ্ছেন বহু সাংবাদিক কিন্তু কেন?


পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও প্রথম আলোর সম্পাদক মন্ডলী সাবেক উপদেষ্টা কামাল আহমেদ। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ‘পরিবেশ সংকটে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে।
৩ মে শুক্রবার লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব অফিসে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহমেদ ও ঊর্মি মাজহার ।

ক্লাবের সেক্রেটারি ও দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইসির মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের।তাইসির মাহমুদ বলেন সাংবাদিকতা পেশায় অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়ে অভয়নকর হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট মোঃ জুবায়ের বলেন পরিবেশ রক্ষায় সর্বক্ষেত্র থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সাংবাদিকতার পাশা-পাশি টিভি লাইভ প্রোগ্রাম, কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক ও টিভি প্রেজেন্টার উর্মি-মাজহার বলেন পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতা এটি নতুন ক্ষেত্র । পরিবেশ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা অনেক সময় প্রতিবন্ধকার শিকার হন। কখনো কখনো সমাজের রাঘব বোয়ালরা এমনকি সরকারও এর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের নির্যাতনের উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি । উর্মি-মাজহার আরো বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতার জন্য পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও ছোটদের মাঝে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি গাছ লাগানো পরামর্শ দেন তিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহমেদ বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস বিষয়ে আলোচনা করার আগে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণ করা এবং তাদের হত্যার বিচারের দাবি জানানো বেশি প্রয়োজন। তার আলোচনায় গাজা এবং ইসরাইলে প্রসঙ্গ উঠে আসে । তিনি বলেন গাজা এবং ইজরাইলের সংঘাতে গাজায় যতজন সাংবাদিক মারা গিয়েছে এক দশকেও সেই পরিমাণ সাংবাদিক মারা যাননি। তাই তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় অনুষ্ঠানে।
গাজা-ইসরাইল সংঘাত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কি পরিমান প্রভাব পড়ছে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজের এক গবেষণায় তুলে ধরেন কামাল আহমেদ।
গাজা যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে আকাশপথে বা সাগরে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী ক্ষতিকর কার্বন গ্যাসের যতটা উদ্‌গিরণ ঘটেছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২০টি দেশের বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান।
এছাড়া সাংবাদিক কামাল আহমেদ বলেন পরিবেশ রক্ষায় সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বাংলাদেশে অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। তাই ঐক্য, সততা, নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার কথা বলেন ।

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, সুরমার সম্পাদক শামসুর আলম লিটন, দর্পণের সম্পাদক রহমান আলী, কবি ও সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মেদ, কবি ও কমিউনিটি নেতা মজিবুল হক মনি, ক্লাবের সদস্য আহাদ চৌধুরীর বাবু , জি আর সোহেল এবং আনোয়ারুল ইসলাম অভি।

আলোচনা শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী ।

অনুষ্ঠানে ক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, অর্গানাইজিং এবং ট্রেনিং সেক্রেটারি আকরামুল হোসাইন, মিডিয়া এবং আইটি সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল হান্নান, এক্সিকিউটিভ মেম্বার আনোয়ার শাজাহান।


Similar Posts