| |

শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে টিকে গেলেন,
বৃটিশ প্রধান মন্ত্রী বরিস জনসন।


মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।

৬ই জুন ২০২২ বৃটিশ পার্লামেন্টের দিকে তাকিয়ে ছিলেন প্রতিটি জনসাধারন সহ সারা বিশ্ব। কি হয় বরিস জনসনের? ক্ষমতা থাকবেন না কি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে বিদায় নিতে হবে? আস্তা ভোটে নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ ছিলো না। কি হয়? কি হবে? এই শ্বাসরুদ্ধ এই পরিস্থিতি জন্য অপেক্ষার শেষ ছিলো না।

শেষ পর্যন্ত আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দলীয় এমপিদের অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ায় যে সংকটের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি আপাতত তা কেটে গেছে। গোপন ব্যালটে অনুষ্ঠিত এই আস্থা ভোটে দলের মোট ২১১ জন এমপি পার্টি লিডার হিসেবে বরিস জনসনের পক্ষে তাদের সমর্থন দিয়েছেন।

আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৪৮জন এমপি। দলের ৫৯% এমপির সমর্থন পাওয়ায় আপাতত এই সংকট থেকে উদ্ধার পেলেও দলের ৪১% এমপির আস্থাহীনতা মাথায় রেখেই এখন তাঁকে আগামীর পরিকল্পনা সাজাতে হবে।

ভোটের আগে দলীয় এমপিদের এক সভায় বরিস বলেছিলেন, ‘আপনাদের জন্য আমি আবারও বিজয়ী হবো’। স্কটিশ কনজারভেটিভ পার্টির লিডার ডগলাস রোজও বরিস জনসনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ডাউনিং ষ্ট্রীটের লকডাউন নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসার পরই মূলত নিজ দলীয় এমপিদের তীব্র সমালোচনার শিকার হচ্ছিলেন বরিস। এই সমালোচনা শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে এসে ঠেকলেও আপাতত তা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বরিস জনসন কিন্তু তার বিরুদ্ধে লকডাউন নিয়ম ভংগের আরো অভিযোগ উঠেছে।

অনাস্থা ভোটে বরিসের আস্থা অর্জনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে আশা করি বাহাস কমবে। পার্টি গেইট কেলেঙ্কারীকে ইস্যু বানিয়ে প্রতিদিন পার্লামেন্টে এসে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া বন্ধ হবে।

তবে আস্থা ভোট ট্রিগার হওয়ার পর বরিস নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে তাকে কেমন আচরণ করতে হবে। গত ৫ বছরে ব্রেক্সিট, কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের বড়ো বড়ো ধাক্কা সামলানোর জন্য একটি দেশের রাজনীতি স্থিতিশীল থাকা প্রয়োজন।

ওয়েস্টমিনস্টারে বাই চান্সে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিটা কেমন করে আমদানী হলো সেটাও ভাববার বিষয়।গত ৪ বছরে দুই দফা নো কনফিডেন্স ভোটের ট্রিগার ব্রিটিশ রাজনীতির জন্য মোটেও শুভ লক্ষণ নয়! নিজ দলের ৪১ শতাংশ এমপি প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীতা করা দলের নেতা হিসেবে বরিস জনসনের জন্য অনেক বড়ো ভাবনার বিষয়।

বরিস জনসন ৪১% কনফিডেন্ট লস করেছে।১৪৮ এমপি তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এই সব মাথায় নিয়ে অতি সাবধানে পাড়ি দিতে হবে আগামীর দূর্গম পথ।


Similar Posts