| |

বিদেশ নামক সোনার হরিণ ধরতে,
ইংলিশ চ্যানেলে ২৭ জন অভিবাসীর মৃত্যু।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

দি ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেন্টের তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে অস্বাভাবিক হারে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে প্রবেশের সময় বহু লোকের মৃত্যু হয়। গত বুধবার আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,” হিউম্যান ট্রাফিকিং বন্ধ করতে হবে এই ভাবে প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু কারো কাম্য নয়। নৌকায় ডুবে মারা যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না,”।

বিবিসি পলিসি এডিটর লুইস গোডাল বলেন,” প্রায় ২৫ টি নৌকা আছে। সেই সব নৌকা দিয়ে জাহাজ থেকে অভিবাসীদের আনা নেওয়া করে। নৌকায় অতিরিক্ত মানুষ বহনের ফলে নৌকা ডুবে মানুষের মৃত্যু হয়,”।

ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হওয়া বেশ কয়েকজন অভিবাসী ক্যালাইসের কাছে চ্যানেলে নৌকা ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে ফরাসি সরকার।

ফরাসী প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্স বলেছেন, জাহাজডুবি একটি “ট্র্যাজেডি” ছিল এবং যারা মারা গেছে তারা “অপরাধী চোরাকারবারিদের” শিকার।

পুলিশের তথ্য মতে বুধবার নৌকা ডুবিতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়া প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন অভিবাসী এই চ্যানেল দিয়ে পাড় হয়।অনেকে নিরাপদে পাড় হতে পারলেও মাঝেমধ্য অনেকেই নৌকা ডুবিতে শিশু, মহিলা সহ অনেক অভিবাসীর মৃত্যু হয়।২০২০ সালে এই চ্যানেল দিয়ে প্রায় ২৫,৭০০ জন অভিবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড় হয়েছেন।

ফরাসি ও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ আকাশ ও সমুদ্রপথে চ্যানেলটিতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।বুধবার ফ্রান্সের উপকূলে সমুদ্রে বেশ কয়েকজনকে দেখার পরে একটি মাছ ধরার নৌকা অ্যালার্ম বাজিয়েছিল।

ফ্রাঙ্ক ধেরসিন, হাউটস ডি ফ্রান্স অঞ্চলের গতিশীলতা, পরিবহন অবকাঠামো এবং বন্দরগুলির ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং টেটেগেমের মেয়র বলেছেন, ডানকার্ক থেকে ২৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তবে কিছু বেঁচে থাকাও রয়েছে।

ডোভার এবং ডিলের কনজারভেটিভ এমপি, নাটালি এলফিক বলেন,”যে ঘটনাটি একটি “পরম ট্র্যাজেডি” যা বোঝায় যে কেন নৌকাগুলিকে জলে প্রবেশ করা বন্ধ করা দরকার।

“শীত যতই ঘনিয়ে আসছে সমুদ্রের জল ততই রুক্ষ হয়ে উঠবে, জল আরও ঠাণ্ডা হবে, দুঃখজনকভাবে আরও বেশি প্রাণ হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই বিপজ্জনক ক্রসিং বন্ধ করা মানবিক এবং সঠিক কাজ।”

বিদেশ নামক সোনার হরিণ ধরতে জমিজমা বিক্রি করে একটু সুখের আশায় পাড়ি দেয় উন্নত দেশে। অনেকেই বৈধ পথে না এসে দালালদের খপ্পরে পরে পাড়ি দেয়। অবৈধ পথে। কখনো পাহাড় ডিংগিয়ে কখনো চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পরে আবার কখনো লরি বা মালবাহী ট্রাকের ভিতর দিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দেয়। কেউ হয়তো গন্তব্যে পৌছে আবার অনেকেই রাস্তায় মৃত্যু বরণ করেন।


Similar Posts