ব্রিটেনে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত।শতর্ক হওয়ার আহ্বান।আসতে পারে কঠোর লকডাউন।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ব্রিটেনে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।বিজ্ঞানীরা বলছেন, “ কভিড-১৯ করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কঠোর কোভিড ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের পরিকল্পনা এখনই নেওয়া উচিত এবং কভিড-১৯ এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে,”।
সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সি ( সেজে ) বলছে, মানুষকে বাসা থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া ভাইরাল বিস্তার বন্ধে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
বৃটিশ সরকার বাধ্যতামূলক মুখোশ পরার মতো নিয়ন্ত্রণগুলি পুনরায় চালু করার চাপে রয়েছেন।
এখন প্রতিদিন ৫০,০০০ এর উপরে করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হচ্ছে।কিন্তু স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ বলেন,”যে আগামী মাসগুলিতে দৈনিক কেস দ্বিগুণ হতে পারে।তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে,”।
সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টাদের বৈঠকের কয়েক মিনিটের মধ্যে, তারা সতর্ক করে দেয় যে, পরে না করে আগে কাজ করলে দীর্ঘমেয়াদে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন কমে যেতে পারে।যে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে যে প্রবর্তিত কোন ব্যবস্থা অবশ্যই স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্সের নেতৃত্বে উপদেষ্টারা বলছেন, আসন্ন শীতের পূর্বাভাস দেওয়া মডেলগুলি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ২০২১ সালের শিখরের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্রমবর্ধমান অসম্ভব বলে মনে করে, তবে তারা অনাক্রম্যতা এবং মানুষের আচরণের ক্ষতির প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত।
লোকেদের মধ্যে একটি লক্ষণীয় ডুব দেখা গেছে যে তারা মুখ ঢেকে রেখেছে এবং ওএনএস এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে যে অর্ধেকেরও বেশি ব্রিটিশ কর্মক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক এখন কাজের জন্য ভ্রমণ করছে।
মুখ ঢাকা বা মুখে মাক্স বাধ্যতামূলক করা কোভিডের বিস্তার কমাতে এবং অন্যান্য শীতকালীন ভাইরাস যেমন ফ্লু কমাতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন,করোনায় আক্রান্ত এবং ভর্তি বর্তমানে ইউরোপীয় তুলনাকারীদের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় রয়েছে, যা অতিরিক্ত ব্যবস্থা ধরে রেখেছে এবং বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়া বেশী প্রয়োজন”।
যে হারে প্রতিদিন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত বাড়ছে। এটি অব্যহত থাকলে আগামীতে লকডাউন দেওয়ার বিকল্প নেই।
ইস্ট লন্ডন মসজিদ সহ অনেক ধর্মীয় প্রতিস্ঠান মুখে মাক্স, নিজের জায়নামাজ সাথে নিয়ে আসা, বাসা থেকে অজু করে আসা, সামাজিক দূরুত্ব মেনে চলা সহ সরকারে পূর্বের নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি ঘোষনা না দিলেও বলা হচ্ছে সরকারের আগের নিয়ম ফলো করে মুখে মাক্স পড়তে উৎসাহিত করছে।
সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন অপরকে সুস্থ্য রাখতে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আমিন।