ব্রিটেনে করোনা কালে “ফার্লো স্কীমে”ঐতিহাসিক সাফল্য।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ মহামারিতে ব্যাবসা বানিজ্য টিকিয়ে রাখা এবং শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য যে কয়েকটি পদক্ষেপ সরকার নিয়েছিলো তার মধ্যে ফার্লো স্কীম ঐতিহাসিক সাফল্য বয়ে এনেছে বলে মনে করেন টরি এমপি- সাইমন ক্লার্ক।
কনজারভেটিভ এমপি এবং ট্রেজারির মুখ্য সচিব সাইমন ক্লার্ক কোভিড ইউনিভার্সাল ক্রেডিট বৃদ্ধি অবসানের সরকারি সিদ্ধান্তকে রক্ষা করবে।
ইউনিভার্সাল ক্রেডিট-এ সপ্তাহে ২০-এর বৃদ্ধি অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু অনেকেই সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন যখন বেশিরভাগ পরিবারের দাম এবং বিল বাড়ছে।তাই ইউনিভার্সাল বন্ধ না করে ধারাবাহিক ভাবে দেওয়ার জন্য দাবী জানানো হচ্ছে।
ক্লার্ক হাউস অব কমন্সকে বলেন, “সমস্ত প্রমাণ এখন শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের দিকে নির্দেশ করে।”
ওএনএসের পরিসংখ্যানের উল্লেখ করেছেন “শ্রমিক দের শূন্যপদ রেকর্ড উচ্চতায় ছিল”, বেকারত্বের হার পরপর সাত মাস ধরে কমে আসছে।
ব্যাবসায়ীরা এখন খুব দ্রুত ফার্লো স্কিম থেকে বেরিয়ে আসছে। সংখ্যা জানুয়ারিতে ৫.১ মিলিয়ন থেকে জুলাই শেষে ১.৬ মিলিয়নে নেমে এসেছে।”
“এই কঠিন সময় জুড়ে যুক্তরাজ্যকে সমর্থন করার জন্য ফার্লো স্কিম একেবারে অপরিহার্য ছিল। এটি একটি ঐতিহাসিক সাফল্য।বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হওয়ায় বৃহত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে।ব্যাবসায়ী সহ জনসাধারনকে সাহায্য করার সর্বোত্তম উপায় হল তাদের ভাল সুযোগ-সুবিধাযুক্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা,”।
ইতিমধ্যে অনেক ব্যাবসায়ী এবং শ্রমিকরা ফার্লো সুবিধা নিয়ে তাদের পরিবারকে ঠিকিয়ে রেখেছেন। এক দিকে যেমন করোনা কালীন সময় জনসাধারন কাজে যেতে পারেননি তারপরও বেতনের শতকরা ৮০% পার্সেন্ট বেতন পেয়েছেন। এইটা অনেক বড় সাপোর্ট।কর্মচারীদের সাথে সাথে প্রতিস্ঠান গুলিও উপকৃত হয়েছে।
করোনাভাইরস মহামারিতে লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য কাজে না যেয়ে ও বা কাজ না করেও ঘরে বসে বেতনের শতকরা ৮০ পারসেন্ট বেতন দিতে তড়িৎ গতিতে সরকার ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের ফারলো স্কীম হাতে নেয় সরকার। এই স্কীমে শ্রমিকরা অত্যান্ত উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু গত ৩১শে অক্টোবর ২০২০ সালে শেষ হয়।
দ্বিতীয় বার জাতীয় লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতা অব্যহত রাখার জন্য এই ফারলো স্কীমর সময় ছিলে মার্চ মাস পর্যন্ত, পরবর্তীতে বাড়ানো হলো আরো এক মাস এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত। এর পর চ্যান্চেলর ঋষি সুনাক ঘোষনা দেন তৃতীয় জাতীয় লক ডাউনের ব্যাবসায়ীদের সহযোগিতার জন্য গ্রান্ড এবং শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য ফার্লোর সময় বাড়ানো হলেও ৩০শে সেপ্টেম্বর এর সময় শেষ হচ্ছে।
১১.৬ মিলিয়ন জব বা শ্রমিক এই স্কীমের আওতায় রয়েছেন। ব্রিটিশ চ্যান্সেলার ঋষি সুনাক বলেন,”ইংল্যান্ডে কর্মজীবি মানুষের চাকুরী না করেও ঘরে বসে বেতনের শতকরা ৮০% পারসেন্ট ভাতা সহযোগিতার চলমান ফার্লো স্কিমটি ৩০শে সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে তবে এই স্কীম সরকারের একটি সফল প্রজেক্ট,”।