বৃটিশ পার্লামেন্টে মন্ত্রীদের দপ্তর বন্টন।
এসেছে নতুন মুখ, পদ হারিয়েছেন অনেকে।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বড় ধরনের রদবদল ঘটিয়েছেন। এই নতুন মন্ত্রী পরিষদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এধরনের পরিবর্তন পূর্বে আর কখনো হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ ভাবে বিশ্বাস করেন করোনাভাইরাস মহামারি এবং ব্রেক্সিট মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতেই এই পরিবর্তন।
তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ডমিনিক রাবকে সরিয়ে তার জায়গায় নতুন নিয়োগ দিয়েছেন লিজ ট্রাসকে।
ডমিনিক রাবকে করা হয়েছে নতুন আইনমন্ত্রী।
আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বিদেশি সেনা ও মিত্রদের প্রত্যাহারের পর সংকট দক্ষ হাতে সামাল দিতে না পারা নিয়ে সমালোচনার মুখে রাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল।
ডমিনিক রাবের জায়গায় লিজ ট্রাস নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় এখন শীর্ষ চার পদের মধ্যে দুটোতেই আসীন হলেন নারী।
৪৬ বছর বয়সী ট্রাস গত দু’বছর বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিশ্বব্যাপী নানা দেশের সঙ্গে একাধিক ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি করেছেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা আছে।
মন্ত্রিসভায় এই রদবদলে প্রধানমন্ত্রী জনসন যে তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন তারা হলেন- শিক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন, আইনমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড এবং স্থানীয় সরকার ও সম্প্রদায় বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনেরিককে।
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক ,স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল , স্বাস্হ্য সচিব সাজিদ জাভেদ কে তাদের দায়িত্বে বহাল রেখেছেন ।
ভ্যাকসিন মন্ত্রী নধিম জাহাওয়িকে শিক্ষা সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
হাউজিং সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিককে বরখাস্ত করা হয়েছে – এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মাইকেল গোভ।
কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারপার্সন আমান্ডা মাইলিংকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকেও নতুন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অলিভার ডাউডেন কে মন্ত্রিপরিষদ অফিসে বিনা পোর্টফোলিও মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ট্রেজারির প্রধান সচিব হলেন সাইমন ক্লার্ক।
স্কুল মন্ত্রী নিক গিব সাত বছর পর সরকার ছাড়ছেন ।
রদবদলের বড় বিজয়ীদের মধ্যে আছেন মিসেস ডোরিস, একজন জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ওপন্যাসিক যিনি এর আগে কখনও মন্ত্রিসভায় বসেননি, এবং মিস ট্রাস, যিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ থেকে সরকারের শীর্ষ তিনটি চাকরির একটিতে চলে যান।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসার পর প্রধানমন্ত্রী জনসন তার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছিলেন