| | |

ইংল্যান্ডের”কভিড-১৯ হিরো”, সাংবাদিক -রেজাউল করিম মৃধা।


কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিতে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবাদানের জন্য সাংবাদিক- মো: রেজাউল করিম মৃধাকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন ২০২১ এওয়ার্ড প্রদান করেন। টাওয়ার হ্যামলেটস এর মাননীয় স্পীকার আহবাব হোসেন, জি এল এ মেম্বার উন্মেষ দেশাই, কাউন্সিল রাজিব আহমেদ,কাউন্সিল এহতেশামুল , কাউন্সিল শাহ সোহেল আমিন সহ অন্যান্য কাউন্সিল বৃন্দ এবং আমন্ত্রীত অতিথিগন।

গত সোমবার ৩০শে আগস্ট ক্রস হারবার কমিউনিটি ফান ডে উপলক্ষে ইস্ট লন্ডনের সর্ব বৃহৎ আজদা সুপার মার্কেটের কার পার্কিং এ এ ফান ফেয়ারের আয়োজন করে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মাননীয় স্পীকার আহবাব হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে এবং গ্রেটার লন্ডন অথরিটি, অসবর্ন বিছ, লন্ডন টি এক্সেন্জ এবং আজদা সুপার মার্কেটের সহযোগিতা হাজার হাজার মানুষের উপস্হিতিতে কভিড-১৯ হিরোদের টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন ২০২১ এওয়ার্ড ব্যাক্তি এবং তুলে দেওয়া হয়।

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিতে বিভিন্ন সেক্টরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাক্তি কাজ করেছেন। সেই সব প্রতিস্ঠান এবং ব্যাক্তিকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন এওয়ার্ড প্রদান করে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে।

করোনা মহামারির সময়ে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কমিউনিটির সেবা করায় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন এওয়ার্ড যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে ফান্ড রেইজ করেছেন, মানুষ সচেতন করা, সংবাদ পরিবেশন করে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বারার দারিদ্র ও হোমলেসদের মধ্যে খাদ্য বিতরন, ফান্ড রেইজ করাসহ মহতি কাজের জন্য এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

সাংবাদিকতার মাধ্যমে করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃস্টিতে ভূমিকা রাখায় টাওয়ার হ্যামলেটস কমিউনিটি চ্যাম্পিয়ন এওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটসের চারজন সাংবাদিককে। তাদের মধ্যে এটিএন বাংলার মোস্তাক বাবুল, টিভি ওয়ানের জাকির হোসেন, আইঅন টিভির আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ ও চ্যানেল এস এর মো: রেজাউল করিম মৃধা।

মো: রেজাউল করিম মৃধা করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই করোনার সংবাদ সংগ্রহ, করোনা রুগীর বাসায় যেয়ে অথবা হাসপাতাল করোনা রুগীর স্বক্ষাৎকার গ্রহন করা। হাসপাতালের মর্গে, করোনা রুগীর, মৃত্যু, গোসল, জানাজা এবং দাফন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ চ্যানেল এস এ সংবাদ প্রচার করা এবং সেই সাথে প্রতিদিনের করোনার আপডেট ফেইচ বুক এবং অনলাইনে প্রচার করা সহ মানুষকে স্বচেতনার জন্য সবসময় কাজ করেছেন এবং এখন ও করে যাচ্ছেন।

ছাত্র জীবন থেকেই সাংবাদিকরা সাথে জড়িত ছিলেন। ঢাকা মিরপুরে সরকারি বাংলা কলেজ বিএ পড়ার সময় কলেজের পক্ষ থেকে দেয়ালিকা এবং বাৎসরিক মায়ের বুলি নামে স্মরনীকা বের করেন।

১৯৮৯ সালে জীবনের তাগিদে প্রবাসী হয়েও লেখা লেখি সাংবাদিকতার সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। ১৯৯০ সালে থেকে ইতালিতে থাকা অবস্থায় রোম থেকে প্রকাশিত দেশ বিদেশ ও স্বদেশ বিদেশ এর সাথে কাজ করেন। বাংলাদেশের খবর গ্রুপ এবং সাপ্তাহিক ২০০০ এর ইতালী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। লিখেছেন এবং ইতালীর সংবাদ পৌছে দিয়েছেন অন্যান্য বাংলাদেশী পত্রিকায়।

২০১১ সালের মাঝামাঝি লন্ডনে প্রবাসী হয়েও অন্য কাজ না করে সাংবাদিকতার সাথেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। দেশ টিভি, বাংলা টিভি এবং ২০১৪ সাল থেকে চ্যানেল এস এর সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সাথে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ইভেন্ট এ্যান্ড ফ্যাসেলিটি সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। ব্রিট বাংলা ২৪. কম এর কমিউনিটি এডিটর, সাপ্তাহিক বাংলা পোস্ট এর নিয়মিত কলাম লিখেন।অনলাইন এমএএইচ লন্ডন টিভিতে প্রতি শনিবার “মৃধা শো” উপস্থাপনা করছেন।


Similar Posts