২০৩০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড ধূমপানমুক্ত করার পরিকল্পনা।নিষিধ হতে যাচ্ছে ২১ বছরেরে কম বয়সীদের সিগারেট কেনা।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
২০৩০ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডে ধূমপানমুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। কারন গবেষনায় দেখা যায়”‘ধূমপান জীবনকে কমিয়ে দেয়” এবং এনএইচএস বিলিয়ন বিলিয়ন খরচ করে – এই বছরের শেষের দিকে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করব যাতে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে সাহায্য করবে”।
ইংল্যান্ডে তরুণদের ধূমপানের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ২১ বছরের কম বয়সীদের সিগারেট কেনা নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।পরিসংখ্যান দেখায় যে করোনা এবং লকডাউনে ধূমপায়ী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
শেক-আপের অংশ হিসাবে স্বাদযুক্ত ই-সিগারেটগুলি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে, এই আশঙ্কার মধ্যে যে তারা বিশেষ করে তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে হবে।
যুক্তরাজ্যে এখনও প্রায় ছয় মিলিয়ন মানুষ ধূমপান করে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রীরা বিশ্বাস করেন যে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপানমুক্ত করতে পারবে-অর্থাৎ জনসংখ্যার ৫% বা তারও কম ধূমপায়ী-এবং আগামী মাসগুলিতে নতুন পদক্ষেপের একটি ধারাবাহিকতা প্রকাশ করতে প্রস্তুত।
নতুন কৌশল বিশেষ করে তরুণ ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করবে।
ধূমপান টুলকিট স্টাডি, যা যুক্তরাজ্যের ২,০০০ পরিবারকে জরিপ করে, দেখায় যে ১৮-২১ বছর বয়সীদের মধ্যে ২০% এখন বলে যে তারা ধূমপান করে। এটি মহামারী হওয়ার আগে ছিলো ১৬.৭% বর্তমানে ২০% । এই ভাবে তরুনদের মধ্যে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আরো অবনতির দিকে যাবে।
গবেষনায় দেখা যায় বয়স্কদের মধ্যে ৫% সিগারেট বা ধূমপান করে থাকেন। কিন্তু তরুনরা বেশী আকৃষ্ট এই ধুমপানের দিকে।
অল পার্টি পার্লামেনিটারি গ্রুপ অফ স্মকিং এ্যান্ড হেল্থ এর চেয়ার বব ব্যাকম্যান সংসদে প্রস্তাব তুলে ধরেন।তরুনদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে পারলে ধূমপানমুক্ত করা সম্ভব হবে। এ প্রস্তাবে প্রায় ৭৬% পার্সেন্ট এমপিরাই ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।
এই জন্য সিগারেট বা তামাক কেনার আইনি বয়স ১৮ বছর। এই বয়স সীমা ২১ করার দন্য প্রচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে এটি উত্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন কারণ তারা বলছেন যে বর্তমান আইন কিশোর -কিশোরীদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি রাখে।
স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেন এবং গভীরভাবে সংশয়ী বলে জানা গেছে।
পুদিনা এবং স্ট্রবেরির মতো ভ্যাপিং স্বাদগুলিও বিশেষ করে তরুণদের কাছে আকর্ষণীয় বলে মনে করা হয় এবং তাদের নিকোটিনে জড়িয়ে পড়তে সাহায্য করতে পারে, যদিও অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে তাদের ব্যবহার যারা ইতিমধ্যে ধূমপান করে তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
ধূমপানমুক্ত ইংল্যান্ড এবং তরুনদের ধূমপান না করার প্রতি উৎসাহিত করতে বিভিন্ন উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার।২১বছরের নিজের তরুনদের নিকট সিগারেট বা তামাক বিক্রি না করা হলে ধূমপান অনেকটা কমে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। ধূমপান কমলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে সেই সাথে এনএইচএস এর উপর চাপ কমবে। গড়ে উঠবে ধূমপানমুক্ত ইংল্যান্ড।
(সুত্র দি মেট্রো)
