প্রধানমন্ত্রী এবং চ্যান্চেলার সেল্ফ আইসোলেশনে। ব্রিটেনে
লকডাউন হতে পারে U ট্রান।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
আগামী ২৬শে জুলাই সোমবার পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও চ্যান্সেলর ঋশি সুনাক সেলফ আইসলেশনে থাকবেন কারন তারা হেল্থ সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদের সাথে সংস্শ্পর্শে যোগাযোগ করেছিলেন যিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ২ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আবারো করোনা পজেটিভ ধরা পরেছে।
তারা বলেছিলেন সেলফ আইসোলেশনের পরিবর্তে দৈনিক পরীক্ষায় জড়িত একটি পাইলট স্কিমে অংশ নেবেন। এর জন্য বিরোধী দল বলেছে যে “তাদের জন্য একটি নিয়ম এবং আমাদের বাকীদের জন্য একটি আইন”। এর ফলে সাধারন মানুষ আরো বিপদে পরবে।
তবে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে যে বরিস জনসন চেকার্সে দূর থেকে সভা পরিচালনা করবেন।
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক টুইটারে বলেছিলেন: “যদিও পরীক্ষা এবং ট্রেস পাইলট মোটামুটি সীমাবদ্ধ, কেবলমাত্র সরকারী ব্যবসায়িক ব্যবসায়ের অনুমতি দেয়, আমি স্বীকার করেছি যে নিয়মগুলিও সবার জন্য এক নয় কারন বিশেষে কিছুটা ব্যাতিক্রম ঘটতে পারে’”।
ব্রিটেনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেছেন যে, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভীতিকর মাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে। অধিক সংক্রমণশীল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব ও লকডাউন বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের কারণে সম্প্রতি আক্রান্তের হার বেড়েছে।বর্তমানে কোভিড রোগী ভর্তির হার কম হলেও, আগামী কয়েক মাসে তা গুরুতর পর্যায়ে চলে যেতে পারে।প্রতি তিন সপ্তাহে ব্রিটেনের হাসপাতালে কোভিড রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রিটেন এখনো বিপদমুক্ত নয়। লক ডাউন উঠে গেলেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিদিনই কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারি আক্রান্তের সংখ্যা মহামারি আঁকার ধারন করেছে। এখানে রাস্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ থেকে সাধারন জনসাধারন ও রেহায় পাচ্ছেন না। আর এরই মধ্যে আগামী কাল ১৯শে জুলাই থেকে লকডাউন কুলে নিলে মহামারির আরো ব্যাপক হতে পারে।
ব্রিটিশ হেল্থ সেক্রেটারি সাজিদ জাভাদ ২ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার সাথে স্পর্শ থাকায় প্রধানমন্ত্রী এবং চ্যান্চেলর ও বর্তমানে সেল্ফ আইসোলেশনে আছেন।
লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে হতে পারে ইউ ট্রান।
সবাই শতর্ক থাকুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।