ইংল্যান্ডে লক ডাউনের মেয়াদ বাড়লো আরো চার সপ্তাহ

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারি থেকে লকডাউন তুলে নেওয়ার রোড ম্যাপ গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষনা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী ৮ই মার্চ, ২৯শে মার্চ , ১২ই এপ্রিল এবং ১৭ই মে লক ডাউন ধাপে ধাপে শিথিল করা হয়।পুরোপুরি লক ডাউল তুলে নেওয়ার ঘোষনা ছিলো ২১শে জুন তবে করোনাভাইরাস মহামারি আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় ইংল্যান্ডের চলমান লকডাউন আরো চার সপ্তাহের জন্য বাড়তে পারে এমন পরিকল্পনা বিবেচনা করছে ব্রিটিশ সরকার।
লকডাউন প্রত্যাহারের সময় নির্ধারণ ছিলো ২১শে জুনে লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনা। তবে ডাউনিং স্ট্রিটের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তথ্য উপাত্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলছে। সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
ঘোষিত এই তারিখের পর থেকে সামাজিক মেলামেশায় আরোপিত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার আশা ছিল ব্রিটিশদের। কিন্তু দেশটিতে ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকে কোভিড ইস্যুতে উদ্বেগ বেড়েছে। একইসাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত সংক্রমণ হার নতুন করে ভাবাচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসনকে। সে কারণেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা করছে তারা।
হোয়াইট হলের একজন সূত্র বলেন, বেশ কিছু বিকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তার মূলে আছে লকডাউনের মেয়াদ চার সপ্তাহ বৃদ্ধির পরিকল্পনা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন লকডাউন বাড়ানো হলে টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য আসবে।
ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশন লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের সাথে সহমত পোষণ করেছে। তবে লকডাউন উঠে গেলে খুলবে ইংল্যান্ডের নাইটক্লাবগুলো, আয়োজন করা যাবে বিয়েসহ অন্য সব ধরনের অনুষ্ঠান। সম্ভবত সে কারণেই কয়েকদিন ধরে ২১ জুন থেকে লকডাউন তুলে নেয়ার জন্য নানামুখী চাপে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে ছায়া স্বরাষ্টমন্ত্রী নিক থমাস সিমন্ড বলেছেন, লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলে অনেক পরিবার একইসাথে ব্যবসা বাণিজ্যে ক্ষতির মুখে পড়বে। পরোয়া সীমান্ত নীতি সচল রাখায় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন লেবার পার্টির এমপি নিক থমাস সিমন্ড। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বিজ্ঞানীরা সতর্কতা দেয়া সত্ত্বেও এই সীমান্ত নীতির মাধ্যমে ব্রিটেনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে প্রথম সনাক্ত হয়। ব্রিটেনেও এ ভ্যারিয়েন্ট সনাক্তের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। করোনায় আক্রান্ত দশ জনের মধ্যে নয় জনই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।