| | |

ইন্টারন্যাশনাল কভিড স্কীমের মাধ্যমে ২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে সবার জন্য ভ্যাকেশন প্রকল্প।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

আগামী ১১ই জুন ২০২১ তিনদিন ব্যাপী জি-৭ সামিট অনুস্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রিটেনের ক্রনওয়েলে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাস্ট্র প্রধানরা এসেছেন। এসেছেন অনেক মন্ত্রী এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জি-৭ সামিটে বিশ্বের সব দেশের সর মানুষের জন্য ২০২২ সালের মধ্য ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাক্সিন প্রকল্পের মাধ্যমে সবার জন্য ভ্যাক্সিন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য জি-৭ এর ধনী দেশ গুলিকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে আশা ব্যাক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,”ভ্যাকসিনেটিং দি ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড দি নেস্ট এয়ার,”।

ইংল্যান্ড ইতিমধ্যে ৪০ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে।যা জনসংখ্যার ৭৬.২% শতাংশ। ২৭ মিলিয়ন মানুষ সেকেন্ড ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে।ব্রিটেনবাসী করোনা মোতাবেলায় অনেকটা সফল হলেও সারা বিশ্বের সবাইকে সুরক্ষা করার জন্য এবারের জি-৭ সামিট কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

অবশ্য আমেরিকা ৮০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন গরীব দেশ গুলির জন্য বরাদ্দ করেছে। ব্রিটেন ও গরীব দেশ গুলির জন্য ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দিতে হবে ইন্টারন্যাশনাল কভিড স্কীমের মাধ্যমে। তা না হলে অনেক দেশ সুস্ঠু বন্টন থেকে বন্চিত হবে।

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে ব্রিটেনে অবস্থান রত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তাদের এলাকার ব্রিটিশ এমপি দের মাধ্যমে একটি জোড়ালো ক্যাম্পাইন শুরু করেছে।এর ফলে হয়তো বাংলাদেশ সরকারের ভ্যাকসিন পেতে সহজ হতে পারে?

গত শনিবার আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইতালী, জাপান এবং ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রীদের বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭-এর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপ নিয়ে একটি ঐতিহাসিক মতৈক্য হয়েছে।

এখন থেকে এসব কোম্পানিকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শনিবার লন্ডনে জি-৭-এর অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে টেক জায়ান্ট আমাজন ও গুগলের মতো কোম্পানিগুলোও নতুন এই করের আওতায় আসবে।

এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সরকারগুলোর হাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আসবে, যা দিয়ে তারা মহামারি মোকাবিলায় ব্যয় সংকুলানের নতুন পথ পাবে।

অন্যান্য দেশও যাতে এই পথ অবলম্বন করে, সে জন্য তাদের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করা হবে। আগামী মাসে জি-২০-এর বৈঠকেই বিষয়টি আলোচনায় উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল দেশগুলি। আমাজন ও ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি করপোরেশনগুলোর বিস্তৃতি এখন চ্যালেঞ্জে।

এখন কোম্পানিগুলো যেসব দেশে তুলনামূলক কম করপোরেট ট্যাক্স রয়েছে সেখানে তাদের কে কর্পোরেট ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

প্রথমত:- জি-৭ চাইছে সারা বিশ্বে এসব কোম্পানির জন্য একটি ন্যূনতম করহার নির্ধারণ করা হোক।

দ্বিতীয়ত:- কোম্পানিগুলো যেসব দেশে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রি করবে, সেসব দেশে তাদের কর দিতে হবে।

জি-৭ সামিটে করোনাভাইরাস মহামারির পর এই প্রথম বিশ্বের বিশ্ব নেতারা ফেইজ টু ফেইজ বা সরাসরি মিটিংএ অংশ গ্রহন করছেন। আশা করা হচ্ছে এই সামিটে করোনাভাইরাস মহামরির পরবর্তী করনীয় এবং মহামারি থেকে উত্তরণের সঠিক পথ নির্দেশনা আসবে।

বিশ্বে £২৫ থেকে £৩২ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন।এই ভ্যাকসিন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য

দি ওয়ার্ডল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন WHO)

দি গ্লোবাল ভ্যাকসিন এলাইন্স( GAVI),

দি কালেকশন ইয়োডেমিক প্রেপারেশন ইনোভেশন (CEPI) এবং ইউনিসেফ সহ বিভিন্ন অরগানাইজেশন এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সবার একটাই উদ্দেশ্য সবার জন্য ভ্যাকসিন এবং করোনা মুক্ত সুন্দর পৃথিবী।


Similar Posts