ইন্ডিয়ান ভারিয়েন্টের কারনে,২১শে জুন লক ডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কোনভাবেই করোনাভাইরাস পিছু হোটছেনা ব্রিটেনের। লক ডাউন, ভ্যাকসিন, সামাজিক দূরুত্ব ও শতর্কতা ফলে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও একের পর এক নতুন ভাইরাস আক্রান্ত করে বাঁধার সৃস্টি করছে। কখনো চীনের ভাইরাস, কখনো আফ্রিকার ভাইরাস, ক্যান্ট ভাইরাস আর এখন ইন্ডিয়ান ভাইরাস।একের পর এক নতুন নতুন ভাইরাস আবার আতংক করে তুলছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে ও শতর্কতা অবলম্বন ফলে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রনে আসায় ধাপে ধাপে লক ডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে । ১৭ই মে তৃতীয় ধাপে বৃহৎ আকারে লক ডাউন শিথিল করা হবে এবং ২১শে জুন পুরাপুরি লক ডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও নতুন ইন্ডিয়ান ভাইরাস পাওয়ার ফলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বাঁধার সৃস্টি হতে পারে।লক ডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। বলে শতর্ক বার্তা দিয়েছেন গবেষকরা।
নতুন ভারতীয় করোনা ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টে বৃটেনে চারজন মারা গেছেন। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, দীর্ঘপ্রতীক্ষিত লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার কথা আজ। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যাতে তা না করেন এ জন্য তার ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী সোমবার থেকে বৃটেনে লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেহেতু উচ্চ মাত্রার করোনার স্ট্রেইন বা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ দ্বিগুন হয়েছে তাই লকডাউন শিথিলকরণ স্থগিত করা উচিত।
সোমবার থেকে লকডাউন শিথিল করা হলে জনসাধারণ পাব-এর ভিতর জমায়েত হতে পারবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের আলিঙ্গন করতে পারবে। এর ফলে নতুন এসব ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ আরো দ্রুত হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে ৫ই মে থেকে ১২ই মে পর্যন্ত আরো চারজন সেখানে মারা গেছেন। এ সময়ে ইংল্যান্ডে মোট মারা গেছেন ৯৭ জন। তার মধ্যে ওই চারজন মারা গেছেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ইংল্যান্ডের কেন্টে পাওয়া ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্ট অধিক মাত্রায় সংক্রামক।
এই ভ্যারিয়েন্টগুলো এখনও টিকার বিরুদ্ধে অধিক মাত্রায় ভয়াবহ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭.২ গত সপ্তাহে বৃটেনে দ্বিগুণের বেশি সংক্রামক রূপ ধারণ করে। ১২ই মে পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ১৩১৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৫২০।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,”লক ডাইন শিথিল করা হলেও সবাইকে অতি শতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। সরকারি নিয়মনীতি নেমে চলতে হবে। আমরা চাই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা। এ জন্য সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন,”।