আজ থেকে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন ১৪ দিন। প্রবাসীদের মনে বিরুপ প্রতিকৃয়া।

মো: রেজাউল করিম মৃধা
করোনাভাইরস মহামারি থেকে সুরক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধ বা করোনাভাইরস যাতে নতুন করে না ছড়াতে পারে সে জন্য আজ থেকে ব্রিটেন সহ ইউরোপের যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশ গেলে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলেক ভাবে কোয়ারেন্টেনে থাকতে হবে।
এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুধু যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ থেকে দেশে ফেরা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। এখন নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু যুক্তরাজ্য নয়।
যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে এলেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।বাধ্যতামূলেক ভাবে। সরকারি এই নিয়ম না মানলে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।
যে প্রতিষ্ঠানে বা হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার তার খরচও যাত্রীদের বহন করতে হবে। এসব দেশ থেকে আসা যাত্রীর করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া থাকলেও বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনের এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
আজ বুধবার থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করার পর নতুন এ নিয়ম ঠিক করে দিল বেবিচক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় সে দেশের বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশের বিমানবন্দরে যাত্রীদের সঙ্গে অবশ্যই কোভিডমুক্ত সনদ দেখাতে হবে।
বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা বা তার কম সময়ের মধ্যে নমুনা দিয়ে পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে এই কোভিডমুক্ত সার্টিফিকেট থাকলেও ১৪ দিনের কোয়ারানচাইন বাধ্যতামূলেক ।
এই জন্য ব্রিটেন এবং ইউরোপ প্রবাসীদের মনে অসন্তস্ট নয় । সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের মনে খোঁপ দানা বেঁধে উঠছে। অনেক প্রবাসী যাত্রীরা মনে করেন যাদের দুইটি ভ্যাকসিন দেওয়া আছে এবং যাদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টেনট অমানুষিক এবং আইন বহির্ভুত