| |

ব্রিটেনে “সামার হলি ডে”তে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন নিষেধ হতে পারে।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

সামার হলি ডে বা গ্রীষ্মের ছুটি ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য এক আনন্দময় সময়। সরা বছর কাজের পর সামার হলি ডেকে রিলাক্স করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্ত কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারির কারনে সেই আনন্দ ভ্রমন করা , সমুদ্রের লোনা পানিতে গোসল কিম্বা বিশাল সমুদ্রে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে স্বাস নেওয়া বা স্বপরিবার কিম্বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়ানো নাও হতে পারে বলে গবেষকদের ধারনা।

সামার হলি ডে “অত্যন্ত সম্ভাবনাহীন” কারণ ভ্রমণকারীদের ঝুঁকির কারণে ব্রিটেনে করোনাভাইরাস ভেরিয়েন্ট ফিরিয়ে আনা হতে পারে একজন সরকারি পরামর্শদাতা বিজ্ঞানী বলেছেন।এ সময় করোনার প্রভাব বেড়ে যেতে পারে অথবা বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন লোকের যাতায়াতে করোনা সংক্রামন বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ডঃ মাইক টিল্ডসলে বলেছেন, লোকেরা বিদেশ ভ্রমণ করলে ব্রিটেনের জন্য একটি “সত্যিকারের ঝুঁকির” সম্মুখীন হবে।

বিদেশী ছুটি বর্তমানে অনুমোদিত নয় এবং প্রত্যাবর্তনকারী ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।

ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি -গ্রান্ট শাপস বলেন,”যে বিদেশে কখন ছুটি দেওয়া যাবে তা বলা খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়”।

নিষেধাজ্ঞাগুলি সহজ করার জন্য বর্তমান রোডম্যাপের আওতায় ইংল্যান্ডের লোকেরা বিদেশে ছুটি কাটাতে পারে ১৭ ই মে থেকে । সরকারি বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলতে বলা হচ্ছে।

শিক্ষা , প্রশিক্ষন বা জরুরী কাজে সীমিত সংখ্যক কারণে লোকেরা বর্তমানে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারে, যে কেউ যাকে দেশ ছাড়ার বৈধ কারণ উল্লেখ করে “ভ্রমণে ঘোষণা” ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং উপযুক্ত কারন ছাড়া কেউ ভ্রমন করতে পারছেন না।

একটি সরকারি টাস্কফোর্স ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবেদন দেবে যে কখন এবং কীভাবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আবার শুরু হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্র বরিস জনসন লক ডাউন তুলে নেওয়ার রোড ম্যাপ ঘোষনা দেওয়ার সাথে সাথে ভ্রমন প্রেমীরা সাথে সাথে হলি ডে বুকিং দেওয়া শুরু করে দিয়েছিলো কিন্তু সরকারের বাধ্যবাধকতার কারনে এখন অনেকেই অপেক্ষা করছেন পরবর্তী ঘোষনার। কেননা করোনার আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও যে কোন সময় বেড়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন গবেষকরা। আর এ কারনেই সামার হলি ডে তে সুমদ্র সৈকতে বড় গ্যাদারিং বা ভ্রমন বন্ধ করা হতে পারে।


Similar Posts