ব্রিটেনে ২০২১ সালের বাজেট হবে,
শিক্ষা, চাকরী এবং বিনিয়োগ বান্ধব।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ব্রিটেনে ২০২১ সালের বাজেট করোনাভাইরস মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো। সেই সাথে শিক্ষা, চাকরী এবং বিনিয়োগ প্রাধান্য পাবে।
ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বুধবার তার বাজেটে ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ১২৬ মিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধির ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
এই স্কিমটিতে একটি নতুন “ফ্লেক্সি-জব” শিক্ষানবিশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা শিক্ষানবিশদের এক সেক্টরে বিভিন্ন নিয়োগকর্তার সাথে কাজ করতে সক্ষম করবে।
বেকারত্ব প্রায় পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ স্তরে, এতে কম বয়সী এবং সাধারণত নিম্ন বেতনের কর্মীরা চাকরির ক্ষতির শিকার হয়।
ঋষি সুনাক বলেন,”লোকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে সরকারের “প্রাণবন্ত” সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
বিদ্যমান শিক্ষানবিশতা এবং প্রশিক্ষণার্থী প্রোগ্রামে চ্যান্সেলরের উৎসাহ বৃদ্ধির মধ্যে বয়স নির্বিশেষে কোনও শিক্ষানবিশ গ্রহণকারী সংস্থাগুলির কাছে বর্তমান নগদ প্রণোদনা দ্বিগুণ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার পরে লোকদের তাদের প্রথম চাকরিতে প্রবেশ করা। এগুলি ছয় সপ্তাহ থেকে ছয় মাস অবধি থাকে এবং এগুলি ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের জন্য খোলা থাকে।
বর্তমানে ইংল্যান্ডের সংস্থাগুলি ২৫ বছরের কম বয়সী প্রতিটি নতুন শিক্ষানবিশকে ২০০০ পাউন্ড এবং২৫ বছরেরও বেশি বয়সীদের জন্য ১৫০০ পাউন্ড প্রদান করা হয়েছে, এছাড়াও তারা ইতিমধ্যে অন্য প্রকল্পের আওতায় পাচ্ছে ১০০০ পাউন্ড অনুদানের পাশাপাশি।
কোনও চাকরিজীবী নিয়োগকারীদের জন্য নগদ প্রণোদনা বাড়িয়ে ৩০০০ পাউন্ড করার প্রতিশ্রুতি দেবেন – বয়স নির্বিশেষে।
সরকার বলছে যে পরিকল্পিত ১২৬ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ আরও ৪০,০০০ প্রশিক্ষণার্থী তৈরী করতে সক্ষম হতে পারে।
তিনি চাকরিজীবী ও নিয়োগকারীদের সহায়তায় প্রতিশ্রু অব্যহত থাকবে সেই সাথে যুক্তরাজ্যের আর্থিক উন্নতি এখন “উন্মুক্ত” হয়ে যাবে।
সরকার মনে করে শিক্ষা প্রাধান্য পাবে সেই সাথে শিক্ষা শেষ করে কেউ যেন বেকার না থাকে সেই বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিক্ষা শেষে যে সব শিক্ষার্থী চাকরী না করে নিজেদের উদ্দোগে ব্যাবসা প্রতিস্ঠান সহ যেকোন উদ্দোগ গ্রহন করলে সরকার তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে এই বাজেটে।