ব্রিটেনে- তৃতীয় ভ্যাকসিন অনুমোদন।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারি থেকে রক্ষার অন্যতম হচ্ছে ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য প্রতিটি দেশেই নিজেদের গবেষকরা গবেষনা করে ভ্যাকসিন আবিস্কার করেছেন। কোনটার কার্য ক্ষমতা বেশী বা কম বা ব্যাবহারের সহজলভ্যতা নিয়ে তারতম্য আছে। তবে যে যার মত করে চেস্টা করে যাচ্ছেন যাতে এই করোনাভাইরস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ইতিমধ্যে চায়না ভ্যাকসিন আবিস্কার করে তার জনসাধারন কে রক্ষা করতে পেরেছে কিন্তু বহিঃবিশ্ব তেমন কোন সহযোগিতা করে নাই।ফাইজার-বায়উনটেক এর ভ্যাকসিন সারা বিশ্বে সারা ফেলে এবং প্রথম অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সেই সাথে প্রতিটি ভ্যাকসিন প্রথম অনুমোদন এবং প্রয়োগ করেছে ব্রিটেন।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিন সেটারও অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেন। গত ৪ঠা জানুয়ারি সোমবার থেকে ব্যাপক হারে ব্রিটেনের সর্বত্র এনএইচএস প্রায় প্রতিটি হাসপাতাল এবং নির্দিষ্ট স্থানে ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এতে জনসাধারনের মাঝে বেঁচে থাকার আশার সন্চার হচ্ছে।
অনেক পরীক্ষা-নিরিক্ষীর পর দি মেডিসিন এ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রটেক্টস রেগুলেটর এজেন্সি (MHRA) মর্ডেনা ভ্যাকসিনটির মানব দেহে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এই কমিটি বলছে,” মর্ডেনা ভ্যাকসিন শতকরা ৯৫ পারসেন্ট কার্যকর এবং নরমাল ফ্রিজে রাখা যাবে ।
৮ই জানুয়ারী ২০২১ নতুন এই ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমোদন দলো ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটিশ হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাথ হ্যাংকক বিবিসির এক স্বাক্ষাৎকারে বলেন, “তৃতীয় মর্ডেনা ভ্যাকসিনটি রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখবে আমাদের সরকার ১০ মিলিয়ন মর্ডেনা ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছে’”।
ভ্যাকসিন ডিপার্টমেন্ট মিনিস্টার নাদহিম জাহয়াইয়া বলেন,” এনএইচএস এখন চিন্তা মুক্ত পর্যাপ্ত পরিমানে ভ্যাকসিন আছে এবং বাকী গুলি পর্যায়ক্রমে আসবে।এখন নিয়মিতভাবে জিপির দেওয়া ড্যাটা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দলে আমরা করোনাভাইরস থেকে রক্ষা পাবো ,”।
মর্ডেনের ভ্যাকসিন মাত্র -২০ তাপমাত্রায় রাখা যায় এবং ৮০ উর্ধ বয়সীদের জন্য বেশী কার্যকর। ফাইজার ভ্যাকসিন -৭৫ তাপমাত্রায় রাখতে হয় সে দিক থেকে মর্ডেনের ভ্যাকসিন সহজ ভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া যায়।
ফাইজার-অক্সফোর্ড এবং মর্ডেনা তিনটি ভ্যাকসিন বাজারে আসাতে আশার আলো দেখছেন সারা বিশ্বের মানুষ।এই ভ্যাকসিনের সঠিক ব্যাবহারের মধ্যে দিয়ে করোনা মুক্ত হবে সারা বিশ্ব।