ইউকের সাথে ইউরোপের ফ্লাইট বন্ধ। ইউকেতে স্থায়ী হতে পারলেন না অনেক বাংলাদেশী।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরস মহামারির নতুন প্রিভেন্ট আতংকে ব্রিটেনে সাথে সকল ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করায় অনেক বাংলাদেশীদের মনের আশা অপূর্ণই থেকে গেলো। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন বৈধভাবে বসবাসের সেই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিজ্ক্ষিত করার আশায় ব্রিটেনে এসে বসবাসের ইচ্ছা আর পূর্ন হলো না।
৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ হলো ইউরোপীয়ান দের ফ্রি মুভমেন্টের এবং স্থায়ী ভাবে সেটেল্ট হওয়ার শেষ সময়। বাকী আর মাত্র কয়েকটি দিন। কিন্তু বাধসাধলো করোনার নতুন ভাইরাস। এই করোনার প্রিভেন্ট নতুন ভাইরাস বর্তমানে ব্রিটেনের করোনার নতুন রুপ আগের করোনার চেয়ে ৭০ গুন বেশী ভয়াবহ এবং সব বয়সের মানুষ কে দ্রুত আক্রমন করে। তাই সবাইকে সতর্ক সাথে চলার জন্য দুই দেশ নির্দেশ দিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর এক মুখপাত্র বলেছেন, তথ্য ভাগাভাগিতে সহায়তার উদ্দেশ্য নিয়ে বৈঠকটি সাজানো হয়েছে।”‘আমাদের হাতে আরও ভালো তথ্য না আসা পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ”।
করোনার নতুন ধরন নিয়ে ব্যাপক ভীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলেছে, এটি (নতুন ধরন) মহামারির বিবর্তনের একটি স্বাভাবিক অংশ। করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করায় যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেছে ডব্লিউএইচও। করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ কারণে আটকা পড়েছে জরুরি পণ্যবাহী বহু গাড়ি।সেই সাথে বহু যাত্রী তাদের আর আসা হলোনা।
করোনাভাইরাস নতুন রূপের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের কারণে অন্তত ৪০ টিরও বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের আগমনকে নিষিদ্ধ করেছে।সেই সাথে ইউরোপের প্রায় সব দেশ ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। আর একারনে যে সব বাংলাদেশী শেষ সময় ব্রিটেনে এসে স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ থাকায় তাদের আর আসা হলো না।
যে সব বাংলাদেশীরা শেষ সময় এসেছেন তাদের মধ্যেও স্বস্থি নেই কেননা টিয়ার ৪ ঘোষনা অনেকটা লক ডাইনের চেয়ে ও কঠিন তাই নতুন দের অনেক সমস্যা। কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারছেন না। কেননা এক জনের বাসায় অন্য কেউ প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু আপনাকে এসে প্রথমে যে কাজ গুলি করতে হচ্ছে:-
১/ এন আই নাম্বার।এন আই নাম্বারের জন্য বেশীর ভাগ জব সেন্টার বন্ধ । অর খোলা থাকলেও এপোয়েন্টম্যান্ট ছাড়া প্রবেশ করা নিশেধ। তাই অন লাইন ই একমাত্র ভরসা।
২/ বাসা । নিজের নামে বাসা নিতে হবে। এই বাসা নেওয়া এ বর্তমানে বিশাল সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছ। বেশীর ভাগ অন লাইনে অথবা ফোনে এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে বাসার এজেন্সীর সাথে আলাপ করতে হয়।৬ জনের বেশী একত্র হওয়া নিষেধ কিন্তু বর্তমানে বাসা নেওয়ার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা সম্ভব নয়। এমন ও দেখা গেছে একটি বাসার জন্য ৪০ জনের ও বেশী কাস্টমার আছে।
৩/ কাজ থাকতে হবে। বর্তমানে করোনাভাইরস মহামারিতে এক ক্লান্তিকাল অতিবাহিত করছে ব্রিটেন। রেস্টুরেন্ট বন্ধ শুধু টেকওয়ে খোলা, খাবারের শপ বা মার্কেট ছাড়া প্রায় সব কিছুই বন্ধ এই ক্লান্তিকালে একটি কাজ পাওয়া কতটা সহজ আপনি অনুমান করুন। তারপরও চেস্টার ত্রুটি নেই। শেষ মূহুর্তে এসেও চেস্টার শেষ নেই।
যে কোন কিছুর বিনিময়েই হোক সন্তানদের উচ্চশিক্ষা এবং উজ্জল ভবিষ্যতের আশায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেস্টা করতে হবে। স্থায়ী বসবাসের জন্য।