চ্যানেল এস নিউজের প্রভাব পরে সমাজ ও রাষ্ট্রে।
শুভ জন্মদিনে চ্যানেল এস।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
“ওয়ার্কিং ফর দ্যা কমিউনিটি”এই শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে চ্যানেল এস।
কমিউনিটিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে অবিরাম ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানব সেবা থেকে শুরু করে মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান,কবরস্থান বানানো ,চ্যারিটি ওয়ার্ক, ভিন্ন সাধের নতুন নতুন অনুস্ঠান। প্রবাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
সেই সাথে চ্যানেল এস এর নিউজের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন কিম্বা যে কোন দাবী আদায়, সমাজকে ঐক্য বন্ধ করা। এবং সমাজের অসংগতি তুলে ধরে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য অপরিহার্য ভুমিকা পালন করে।
একটি নিউজ পরিবর্তন করতে পারে রাষ্ট্রর পলিসি, আইন, সমাজ সংস্কারের কিম্বা কমিউনিটির বিভিন্ন ইসু তার বহু প্রমান রেখেছে চ্যানেল এস নিউজ।
কমিউনিটির বিভিন্ন ইসুতে চ্যানেল এস নিউজ অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং পালন করে যাচ্ছে।
মাত্র কয়েক দিন আগেও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল মাদার লেন্গুয়েজ বাজেট কাটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।উসমানী স্কুলের নাম পরিবর্তন সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসে শুধু মাত্র চ্যানেল এস নিউজের ভূমিকা অন্যতম।
এবছরের শুরুর দিকে তাহফিদার চিকিৎসা ও তাকে লন্ডন থেকে ইতালীর জেনেভা হাসপাতালে নেওয়া এবং তার চিকিৎসার জন্য চ্যানেল এস যে অবদান রেখেছে সেটা সকলের জানা।চিকিৎসার জন্য ফান্ডরাইজং সহ অন্যন্য সহযোগিতা করে চ্যানেল এস। রয়েল লন্ডন হাসপাতাল তাহফিদার চিকিৎসা করতে অপারকতা এবং আইনি লড়াই সহ সকল কাজে চ্যানেল এস সাথে ছিলো।
এছাড়া ও সমাজের অসংগতি, নাইফ ক্রাইম, ড্রাগডিলিং, এদেশে রাজনীতি, সমাজনীতি, বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, দেশের সাফল্য
সেই সাথে এ প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রীদের অনন্য সাফল্য তুলে ধরে চ্যানেল এস নিউজ সকল দর্শকে মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারিতে বৃটেনে এনএইচএস সেবা খাতে যে অবদান রেখেছে তা অনস্বীকার্য। এনএইচএস এর প্রতি সামান্য সহযোগিতার জন্য বৃটেনে এই প্রথম কোন বিএমই কমিউনিটির পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চ্যানেল এস এর পক্ষে থেকে দুই রাতে এনএইচএস এর জন্য ফান্ড রাইজিং করা হয়। সেই সাথে বেশ কয়েকটি ব্যাবসায়ীক, সামাজিক, চ্যারিটি সংগঠন এমন কি ব্যাক্তিগতভাবেও অনেকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় প্রায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার পাউন্ড।
ব্রিটেনের রানীর জন্মদিনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী শতবর্ষী দবিরুল ইসলাম চৌধুরীর নাম তালিকা ভুক্ত হয়েছে ওবিই সম্মাননার জন্য। স্যার ক্যাপ্টেন টম ম্যুরের দৃষ্টান্ত অনুস্মরণ করে দবিরুল ইসলাম তার বাগানে হাঁটা শুরু করেছিলেন। চ্যানেল এস টেলিভিশনের আর এফ সি প্রকল্পের জন্য জাস্ট গিভিং পেইজ ও টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দবিরুল ইসলামের সংগৃহিত অর্থের পরিমান ছিলো ৪ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড। কভিড কালীন সময়ে রোযা রেখে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহের এমন নজির স্থাপনের জন্য দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে অর্ডার অব দ্যা ব্রিটিশ এম্প্যায়ার সম্মাননার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। অভিনন্দন দবিরুল ইসলাম চৌধুরী ও চ্যানেল এসকে।
ফিড ৫০০০ কর্মসূচীতে বাংলাদেশের সিলেটের প্রতিটি উপজেলায় এবং ঢাকা সহ অন্যান্য জেলাতেও ফিড ৫০০০ এর কর্মসূচীতে দু:স্থ্য মানুষের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়। এখন ফিড ২০০০০ কর্মসূচী চলছে।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারিতে পেইং বাই তে যেভাবে দোকান গুলিতে দাম হাকিয়েছিল চ্যানেল এস নিউজ এবং রিয়েলিটি অফ মাহি প্রগ্রামে এক সাহসী ভূমিকা রেখেছে সেটা সবার জানা।
চ্যানেল এস এর প্রতিটি কর্মসূচী সফলতার সাথে পরিচালিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে থাকে অর্থের হিসাব এবং জবাব দিহিতা। এজন্য ব্রিটেনের সবার মাঝে আস্থার নাম চ্যানেল এস।
সেই সাথে বাংলাদেশর মুক্তিযাদ্ধে এদেশে থেকে বাঙালীদের অবদানের কথাগুলো নিউজে তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এক অনাব্দ চেস্টা চলছে ।
এখনো কমিউনিটির যে কোন অনুস্টানে চ্যানেল এস এর নিউজ অতন্ত গুরুত্ব বহন করে।
চ্যানেল এস নিউজের সাথে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।মহান ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস এবং চ্যানেল এস এর বর্ষপূর্তিতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।