৭ই নভেম্বর হচ্ছে “সৈনিক হত্যা দিবস”।
লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ এর জনসভায়
-শেখ হাসিনা।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
গত ৭ই নভেম্বর কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের সূবর্ণ জয়ন্তীতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভা সংগঠনে সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুকের পরিচালনা জনসভায় লন্ডনে তাঁর বাসস্থান থেকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন, অধ্যাপক আবুল হাশেম, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক লালা মিয়া, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ আহমেদ চৌধুরী,আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আহাদ চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, যুবলীগ সভাপতিফখরুল ইসলাম মধু, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সভাপতি ব্যারিস্টার এনামুল হক।
জনসভায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের) কোন দেশপ্রেম ছিলনা, বরং তাদের চিন্তা ছিল ক্ষমতা ভোগ এবং লুঠপাট করা।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন চালুর মাধ্যমে লুঠপাটের রাজত্ব কায়েম এবং লুঠেপুটে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে। দেশের জনগণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। ঐ সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে নিমজ্জিত হয়। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের জনগণ সরকারের সেবা পেতে শুরু করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় দেশের ভাগ্যের চাকা সামনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদা দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং জনগণের কল্যাণের চিন্তা করে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষাবত্তি করে চলে না, আজকের বাংলাদেশ তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে আসে এবং আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা মোকাবেলা করছি। আমরা দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। একটা মানুষও বাদ যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আমরা সকলকে আলো দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। মুজিবের বাংলায় একটা মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমার বাবা বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আমি জানি বাংলাদেশের উন্নয়ন কীভাবে করতে হয়।প্রতিটি মানুষের ঠিকানা হবে। প্রতিটি পরিবার ঘর পাবেন।
১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। সারা দেশে এসব অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে।আপনারা (প্রবাসীরা) বিনিয়োগ করতে চাইলে, বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন।সরকার প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে তাদের সে ব্যাপারে তাঁকে অবহিত করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
৭ই নভেম্বরের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং ১৯৭৫ সালের পর ১৯ বার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়।
তিনি বলেন, প্রতি বার অভ্যূন্থানকালে জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাজার হাজার কর্মকর্তা ও সৈন্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ৭ইসনভেম্বর হচ্ছে “সৈনিক হত্যা দিবস”।