| |

৪ঠা জানুয়ারি ২০২১ থেকে,
অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন-১৯,
জ্যাব দেওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

২০২১ সাল নতুন বারতা নিয়ে আসছে। করোনাভাইরস মহামারি প্রতিরোধক অক্সফোর্ড কভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং জ্যাব বাজারে আসছে। সেই সাথে ৪ঠা জানুয়ারি ২০২১ থেকে সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে ভ্যাকসিন জ্যাব দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

ব্রিটিশ সরকার অক্সফোর্ড কভিড-১৯ ভ্যাকসিন জ্যাব প্রস্তুত করার জন্য £৮৮ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছে।অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আস্ট্রাজেনিকা কম্পানির সাথে যৌথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাথ হ্যাংকক দি সান এর সাথে এক স্বাক্ষাৎকারে বলেন,”অক্সফোর্ড কভিড ভ্যাকসিন -১৯ জ্যাব, ডাটা বেসিস অনুযায়ী ব্রিটেনের সব শহরের নির্দিষ্ট স্থানে আগামী ৪ঠা জানুয়ারী ২০২১ থেকে দেওয়া হবে”। এই কার্যকর্মে সকল জনসাধারন সহযোগিতা আশা করেন।

সেই সাথে তিনি আরো বলেন,” ফাইজার এবং বাইয়ন্টিক এর ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে ব্রিটেনই প্রথম দিয়েছে কিন্তু -৭০ সেলসিয়াসের নিচে রেখে ভ্যাকসিন দেওয়া সত্যিই কঠিন তবে ইউনিভার্সিটি সিটি অফ অক্সফোর্ড এর ভ্যাকসিন অনেক সহজ সাধ্য এবং ফ্লু ভ্যাকসিনের মত । এটির পার্শপ্রতিকৃয়া নেই তাই এটি সকলের জন্য উপযোগী”। ।

ব্রিটিশ চ্যানচেলর ঋষি সুনাক বলেছেন, “করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই বিস্ময়কর টিকা বৃটেনের জন্য একটি নতুন যুগের আশা জাগিয়ে তুলেছে। তিনি আগেভাগে টিকা প্রয়োগ এবং বৃটিশ বিজ্ঞানী এবং জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) বিভাগের সৃষ্টিশীল কাজের প্রশংসা করেন। বলেন, আগামী বছর হবে বিশ্বে বৃটেনের জন্য নতুন একটি যুগের প্রথম অধ্যায়”।

দুই মিলিয়ন মানুষের মাঝে অক্সফোর্ড কভিড-১৯ জ্যাব দেওয়ার জন্য আগামী ৪ঠা জানুয়ারি ব্রিটেনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

যেসব স্থানে ভ্যাকসিন জ্যাব দেওয়া হবে।

লন্ডনের নাইটিংগেল সেন্টার,

ইপসম সেন্টার স্যারি, ব্রিস্টল আস্টন গেইট ফুটবল স্টেডিয়াম, রোবেটসন হাউজ কন্ফারেন্স সেন্টার,

ম্যানচেস্টার টেনিস এ্যান্ড ফুটবল স্টেডিয়াম, নিউক্যাসলে লেইজি সেন্টার,

নর্থ এ্যান্ড মিডল্যান্ডের বহু বৃহৎ স্থানে এই ভ্যাকসিন জ্যাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ব্রিটেনের ৮৩ টি হাসপাতালে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন জ্যাব দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ইতিমধ্যে ৪০০ টি জিপিতে অন লাইনের মাধ্যমে ডাটা অনুযায়ী বুকিং হয়েছে এবং আরো ২০০ টি জিপিতে ভ্যাকসিন জ্যাব দেওয়ার জন্য অন লাইনে বুকিং প্রকৃয়া চলছে।

রোগীর বয়স, অবস্থান, শারিরীক কন্ডিশন সহ অন্যান্য দিক বিবেচনা করেই এনএসএইচ জিপির মাধ্যমে রোগীদের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন -১৯ জ্যাব দেওয়ার স্থান, তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করে যাচ্ছে। সামাজিক দূরুত্ব কে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং সরকারের সকল বিধিনিষেধ গুলি যথাযথ ভাবে পালন করেই এই ভ্যাকসিন কার্যকর্ম পরিচালিত হবে।

ডা. আলীর মতে, “বয়স্ক এবং দুর্বল লোকজন সবার আগে ভ্যাকসিন পাওয়াটা সবচেয়ে জরুরী। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বস্তরে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাইভেট প্র্যাকটিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমানে এনএইচএস ছাড়া করোনার এই টিকা পাওয়ার আর কোন বিকল্প নাই।

নতুন বছর নতুন যুগের সুচনা করবে ব্রিটেন।


Similar Posts