| |

সমান সার্বোভূমত্ব বজায় রেখে,ব্রেক্সিট চুক্তিতে ইউরোপের,
২৭ দেশের এ্যাম্বাসেটরদের
সম্মতি স্বাক্ষর।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

যুক্তরাজ্য এবং ইইউ সাথে ব্রেক্সিটের ঠিক কয়েকদিন আগে ২৪শে ডিসেম্বর একটি ঐতিহাসিক ব্রেক্সিট বাণিজ্য চুক্তি ঐক্যমতে পৌছে। ২৪শে ডিসেম্বর ২০২০ ইউকের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও

ইইউ-এর প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন সাথে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইইউ তাদের একটি ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ’ ব্রেক্সিট চুক্তি হয়েছে।

জুন ২০১৬ এর গণভোটের পরে ইউকে ব্লক ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেওয়ার চার বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক বিজয় বলা হয়। এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এটাকে “

“ক্রিসমাস গিফট” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন ইইউ’র ২৭টি সদস্যদেশের রাষ্ট্রদূতরা। এর মধ্য দিয়ে চুক্তিটি কার্যকরের পথ প্রশস্ত হল।

বিবিসি জানায়, আগামী বুধবার বিলটি অনুমোদনের জন্য যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে তোলার কথা রয়েছে। সেখানে অনুমোদনের পর ১ জানুয়ারি নাগাদ সেটি আইনে পরিণত হতে পারে।

প্রায় নয় মাস আলোচনার পর যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ওই চুক্তিতে একমত হয় এবং মঙ্গলবার ইইউ’র ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের সরকার তা লিখিতভাবে অনুমোদন করবে বলে জানিয়েছে ‘দ্য জার্মান ইইউ প্রেসিডেন্সি’।

চুক্তি প্রকাশের আগে রাষ্ট্রগুলোর সরকার ‘ইইউ-ইউকে ট্রেড অ্যান্ড কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট’ বিশ্লেষণের জন্য তিন দিন সময় হাতে পান। যদিও ১,২৪৬ পাতার ওই চুক্তির খসড়া কয়েক সপ্তাহ আগেই দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তারা।

যুক্তরাজ্য যখন ইইউ’র একক বাজার এবং কাস্টমস ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে তখন উভয়পক্ষ কিভাবে বাণিজ্য করবে সে বিষয়ে চুক্তিতে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

এই চুক্তির মাধ্যমে ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যর প্রায় ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্নের প্রক্রিয়া শেষ হতে চলেছে।

বেঁধে দেওয়া সময়ের একদিন আগেই ইইউ নেতারা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হতে পারার খবর প্রকাশের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইটে জানান, তিনি চুক্তিটি নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমি এই চুক্তিকে স্বাগত জানাচ্ছি। সমান সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে আমাদের সম্পর্কের নতুন শুরুর ক্ষেত্রে এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

‘‘আমি এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মত বিষয় যেগুলো নিয়ে উভয়পক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে চায় তা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি”।

এদিকে মি: গোভ বলেছেন, ব্যাবসায়ী সহ

“সিঙ্গেল মার্কেট এবং শুল্ক ইউনিয়নের বাইরে – ইইউর সাথে আমাদের নতুন সম্পর্কের প্রকৃতির অর্থ হ’ল এমন ব্যবহারিক এবং পদ্ধতিগত পরিবর্তন রয়েছে যা ব্যবসায়ের এবং নাগরিকদের জন্য প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন,” তিনি বলেছিলেন।

“আমরা জানি যে আমরা ইইউর সাথে ব্যবসা করার নতুন পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্য করার সাথে সাথে কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে, সুতরাং এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের সবার পক্ষে জরুরি।”

মিঃ গোভ ১ই জানুয়ারী থেকে ভ্রমণকারীদের ইইউ গন্তব্যে ভ্রমণ করার জন্য ব্যাপক ভ্রমণ বীমা গ্রহণ, তাদের মোবাইল ফোন সরবরাহকারীর রোমিং চার্জ পরীক্ষা করতে এবং তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস বাকি রয়েছে তা নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করেছিলেন।


Similar Posts