| | |

লন্ডনে হিউম্যান রাইট্স ঐক্যজোটের গণ সমাবেশ আলতাব আলি পার্কে অনুস্ঠিত।


লন্ডন আলতাব আলী পার্কে, হিউম্যান রাইটস ঐক্য জোট ইউকের উদ্যোগে গণ সমাবেশ। “মানবাধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার” মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
৩০ই আগষ্ট বুধবার সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় ইষ্টলন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে হিউম্যানরাইটস ঐক্যজোট কতূক আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার সংগঠক যুক্ত রাজ্য হিউম্যান রাইটস কমিশনের সভাপতি জনাব আব্দূল আহাদ চৌধুরী। মানবাধিকার কর্মী জামাল আহমদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সেক্রেটারী সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুদ্দিন রিয়াজ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ চৌধুরী, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এম এ সারব আলী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আ স ম মিসবাহ সাদাত, যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, স্যাকুলার মুভমেন্টের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলার পুষ্পিতা গুপ্তা, মানবাধিকার আইনজীবি ব্যারিস্টার মঞ্জু, ব্যারিষ্টার এনামুল হক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সেক্রেটারী স্মৃতি আজাদ, সাংবাদিক উর্মি মাজহার, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট কমিশন যুক্তরাজ্য শাখার সেক্রেটারী তারাউল ইসলাম,,মহিলা নেত্রী খালেদা কুরাইশী,শাহনাজ সুমি, গৌররবের ৭১ এর সেক্রেটারী শাহ ইমরান , নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি সেলিম চৌধুরী,বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা নেতা শফিক আহমদ,জগন্নাথপুর এডুকেশন ট্রাষ্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট আঙ্গুর আলী,, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী, চেম্বার অফ কমার্সের ডাইরেক্টার আহমদ হাসান, সাংবাদিক জোবায়ের আহমদ, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধূ, সেক্রেটারী সেলিম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ আলী, হোসনেয়ারা মতিন, নাজমা হোসাইন, হামিদা ইদ্রিস, শাহিনা আক্তার , খালেদা কোরেশী, সখিনা খাতুন,সোনারা বিবি,নিলু আক্তার,
ইফা তাড়া রুজি,সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সোহেল, কবির মিয়া, সাহিন আহমদ চৌধুরী,জাহেদ আহমদ,গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, গিয়াস আহমদ, নজরুল ইসলাম, আব্দুল বাসির, মামুন চৌধুরী, আশিক আহমদ,টুনু মিয়া, সিবুল আহমদ,বিশিষ্ট সাংবাদিক, কমিউনিটি নেতা আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আব্দুল মুকিত, তামিম আহমদ,শাহাদাত হোসেন জয়,জাকির আক্তার খান, জুয়েল চৌধুরী, আহাম্মাদ আয়াছ প্রমুখ।
বক্তরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন,
চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তাদের দোষররা বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
বক্তারা বলেছেন বাংলাদেশের চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তাদের দোষররা বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এরাই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। আজও তারা মানবতা বিরোধী অপকর্মের সাথে জড়িত।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের স্থপতি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশের সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশে একের পর এক মানবতা বিরোধী কর্মকন্ডে লিপ্ত হয় জিয়াউর রহমান।
একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে দেশের সংবিধান লংঘন করে ভোটার বিহিন হাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নিজকে দেশের প্রেসিডেণ্ট হিসেবে ঘোষনা করে। তার সময়ে দেশে ১৯বার ক্যু হয়। কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সামরিক আইনে বিচার করে দেশের হাজার খানের সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে হত্যা করে। আজ পর্জন্ত কারো লাশ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্তানেরা এর বিচার চায়।
১৯৭৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফকেকে হত্যার মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের হত্যার রাজনীতি শুরু। এর পর কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চারনেতাকে জিয়াউর রহমানের নির্দেশে হত্যা করা হয়। জেলহত্যা এবং স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয়, ইনডেমনিটি অ্যডিয়েন্স জারি করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়।
২১বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে এসব হত্যার বিচার শুরু করলে ১৯৭৫ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ও ১৯৭১ এর মানবতা বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে দেশে আবার সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধের পথ বেছে নেয়। জামাত-বিএনপি জোট সরকারের সময় দেশে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় জঙ্গিবাদের বিস্থার ঘটে। জোট সরকার স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজজামান বাবর , মন্ত্রী তাজ উদ্দিন এবং ১৯৭১ মানবতা বিরাধী অপরাধী চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী আলী আহসান মোজাহিদ এবং বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে আফগান ফেরত জঙ্গিরা ২০০৪সালের ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলাকারী মুফতি হান্নানের জবানবন্দি ও সঠিক তদন্তে তা বেরিয়ে আসে। ৭৫এর অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলকারী ও ১৯৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধীরা হলিঅর্টিজেন সহ দেশের অভ্যন্তরে একের পর এক জঙ্গি হামলা চালায়। এই মানবতা বিরোধীরা দেশের সাস্প্রদায়িক সম্পৃতি বিনষ্ট করতে-রামু-সাতক্ষিরা-নাসিরনগর-যশোর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন চালায়। মানবতা বিরোধী অপরাধী ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মইনুদ্দিন ও ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশবিরোধী ষঢ়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে-তাদের নির্দেশে ৭১এর মানবতা বিরোধী অপরাধী ও তাদের সন্তানেরা লন্ডনে মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে সমাবেশ করছে। আজও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে ২০টি মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে এরা সমাবেশ করেছে। যারা এসব সংগঠনের সাথে জড়িত সকলেই স্বাধীনতা বিরোধী অনেকে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আশায় এই পথ বেছে নিয়েছে। এরা কারা এদের চিহ্নিত করতে হবে। এসব সংগঠনের সাথে যারা জড়িত অধিকাংশই একাধিক মামলার আসামী ও দেশ থেকে পলাতক।
বক্তারা ৭১এর মানবতা বিরোধী অপরাধী চৌধুরী মইনুদ্দিন এবং ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামী তারেক রহমানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আবেদন জানান ।


Similar Posts