রেক্সিটে বানিজ্যক চুক্তির সমাধানের পথ ।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
বেক্সিট এখন সবার মুখে মুখে কি পারলামেন্টে,কি দোকান পাটে, পথে ঘাঁটে,বাসে, ট্রেন,স্টিমারে কিম্বা উরোজাহাজে আর পেপার, পত্রিকা, টেলিভিশন এবং ফেইসবুক তো সরগরম মূহুর্তের মধ্যে।যদিও করোনাভাইরস মহামারি এসে সব কিছুকে স্থমিত করেছে। তারপরও ৩১শে ডিসেম্বর ই ইউ থেকে ইউকে কে বের হয়ে আসতেই হবে। এর বিকল্প নেই। তারপর ও সুন্দর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছেন । দুপক্ষই। সবচেয়ে অন্যান্য চুক্তি যাইহোক বানিজ্যিক চুক্তিই হচ্ছে মূখ্য বিষয়। বানিজ্যিক চুক্তির সুস্ঠ সমাধান হতে পারে বলে আশা করছে ব্রিটেন।
আসলে বেক্সিট হলে কার ক্ষতি হবে, কার লাভ হবে? কি কি লাভ বা কি কি ক্ষতি? কি করলে আরো বেশী লাভ করা যাবে অথবা কি কি করলে ক্ষতি থেকে বের হওয়া যাবে? এটা পরিস্কার নয়।কেউ ই পরিস্কার করেন নি। এটা অবশ্যই পরিস্কার করা দরকার । পরিস্কার ধারনা ইউকের সরকার ও ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেওয়া দরকার।
রেফেরেমডমের আগে যদি দুটি পক্ষই তাদের সঠিক কার্যক্রম , মানি ফেস্টুন দিক নির্দেশনা এবং বেক্সিটের পক্ষে বিপক্ষের লাভ ক্ষতি তুলে ধরতেন তবে আজ এ অবস্থার সৃস্টি হতো না।তাদের সঠিক ইস্তেহার না দেওয়ার দায় তখনকার প্রধান মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সহ তার সমর্থকরা এবং বরিস জনসন ও তার সমর্থকরা এড়াতে পারেন না। পদত্যাগ করে নিজেদের বাঁচাতে পারলেও দেশের জন্য রেখে গেছেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত ।
২০১৬ সালের ২৩শে জুন গণভোটের মাধ্যমে ৫১,৯ বেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয় জনগণ । জনগণ পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিলো আমরা ই ইউ থাকবো না । এবার ঠেলা সামলাও। ভয় পেয়ে ডেভিড ক্যামেরন পালিয়ে গেলে এর দায়ভার পরে দলের অন্যতম কান্ডারী তেরেসা মের ঘাড়ে।সে ভাঁড়ে । সে ভারে তেরেসা মে একেবারে নতজানু হয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর আসেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ।৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ সালে ব্রেক্সিট থেকে বের হয়ে যাওয়া তার নির্বাচনী প্রধান মানিফেস্ত ছিলো। যে কোন উপায়েই হোক তার সেই ওয়াদা বাস্তবায়ন করতে তিনি বদ্ধ পরিকর।
ব্রেক্সিট সমাধানে এখন আলোচনা চলছে ব্রাসেলসে।দুই পক্ষের উর্ধতন কর্মকর্তারা অবশ্য বানিজ্যির চুক্তি প্রাধান্য দিচ্ছে।
সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাজ্য এবং ইইউর মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে “সমাধান করা যেতে পারে” এবং একটি চুক্তি “সম্পন্ন করা যেতে পারে” ।
পরিবেশ সচিব জর্জ ইউস্টিস বিবিসির অ্যান্ড্রু মারকে দুই পক্ষের মধ্যে “চুক্তি বিদ্যমান” বলেছিলেন।
তবে এর আগে, তিনি স্কাই নিউজকে বলেছিলেন যে একটি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য এখনও “আমাদের মধ্যে কিছুটা পথ” রয়েছে এবং “সময় খুব সংক্ষিপ্ত”।
আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আলোচনা “বড় অগ্রগতি অর্জন করেছে”।
তিনি স্কাইয়ের সোফি রিজকে বলেছিলেন যে বাণিজ্য চুক্তি পাওয়া “কঠিন তবে খুব কার্যকর” এবং ব্যর্থতার পরিণতিও “তাৎপর্যপূর্ণ” হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধান আলোচক লর্ড ডেভিড ফ্রস্ট এই শহরে এসে পৌঁছেছেন এবং টুইট করেছেন যে “সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ইতিবাচক দিক থেকে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে”।
তবে তিনি বলেছিলেন যে এই চুক্তির “গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি” এখনও সম্মত নয়, তিনি আরও বলেছেন: “আমরা সফল হতে পারি না।”
ইউকে এবং ইইউর মধ্যে যে কোনও চুক্তি উভয় পক্ষের সংসদীয়দের দ্বারা অনুমোদন করা দরকার, সুতরাং একটি চুক্তি হওয়ার জন্য এবং ৩১ ডিসেম্বরের আগে সাইন অফ করার জন্য সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ১৪ দিনের আইসোলেশনে আছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন চলছে।
ব্রেক্সিট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দুই পক্ষই সমাধানের অনেক দূর এগিয়েছে। বাকী কয়েকটি চুক্তিও সুন্দর ভাবে সমাধান হতে পারে। সুন্দর চুক্তির মাধ্যমে ব্রেক্সিট সমাধান হোক। এটাই সকলের প্র্যতাশা।