যুক্তরাজ্যে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে – এমএইচআরএ।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, ভ্যাকসিনের তৃতীয় জাব বা ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ভ্যাকসিন নিরাপদ।অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টাদের জন্য এই শরতে কীভাবে একটি বুস্টার জাব প্রোগ্রাম এগিয়ে নেওয়া উচিত তা নির্ধারণের পথ সুগম করবে। ভ্যাকসিন ও টিকাদান সংক্রান্ত যৌথ কমিটি (JCVI) বুস্টার জ্যাবস নিয়ে মন্ত্রীদের কাছে চূড়ান্ত পরামর্শ প্রস্তুত করছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এটি আনুষ্ঠানিক সুপারিশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং এনএইচএস ইতিমধ্যেই তৃতীয় ডোজের জন্য লক্ষ লক্ষকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বেশ কয়েকটি দেশ শীতের আগে ক্ষয়প্রাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এক তৃতীয়াংশ জাবের পরিকল্পনা করছে, বিশেষত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কয়েক মাস আগে তাদের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ,সোসাল ওয়ার্কার এবং এনএইচএস ও ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের বুস্টার ডোজ দেওয়া প্রাধান্য পাবে।
১৯.৩ মিলিয়ন পাউন্ড ইউকে ক্লিনিকাল ট্রায়াল অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, নোভাভ্যাক্স, জনসন অ্যান্ড জনসন, ভালনেভা এবং কিউরভ্যাকের সাথে ফাইজার জাব পরীক্ষা করছে।
এমএইচআরএর প্রধান নির্বাহী ডক্টর জুন রেইন বলেন,”‘আমরা জানি যে একজন ব্যক্তির প্রথম টিকা কোর্সের পর সময়ের সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।তবে আমি নিশ্চিত করতে পেরে আনন্দিত যে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা দ্বারা তৈরি কোভিড -১৯ বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর,”।
বুস্টার বা ৩য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের শরীরে ইমুনিটি বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।করোনার সাথে যুদ্ধ করে করোনাভাইরাস প্রতিহত করে সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা করবে।
সুত্র :-বিবিসি