| |

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি , আমাদের চেতনায়।
(পর্ব ৩য়)
করোনার মহামারির কারনে ২১শে ফেব্রুয়ারি উৎযাপন
অন লাইনে ভারচুয়াল সভা।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

————-/

পৃথিবীর প্রতিটি দেশে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে শহীদ মিনার। বাংলা ভাষার স্মারক বহন করে।সেই স্মারকের স্বার্থকতা তখনই হবে যখন আমরা প্রকৃতি ভাবে লালন করবো । বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতিকে।বাংলা সংস্কৃতি অতি পুরাতন।আমরা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি তার জন্য দরদটা অনেক বেশী। নিজেকেই প্রশ্ন করুন বাংলা সংস্কৃতির জন্য আপনি কতটুকু আন্তরিক?

শুধু মাত্র ফেব্রুয়ারী মাস এলে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব দেশেই বাংলা ভাষা চর্চা যেভাবে দেখা যায় বছরের অন্যান্য মাসে তেমনটা চোখে পরে না।বাংলা একাডেমী বই মেলা বাংলাভাষার লেখক,পাঠক ও শুভাকাজ্ঞীদের জন্য এক মিলনমেলা।প্রতি বছর নতুন নতুন বই নিয়ে নতুন লেখক আসেন, সই সাথে পুরাতন লেখকদের নতুন বই।নতুন বইয়ের মলাটের গন্ধ সত্যিই অপুর্ব।

বৃটেনের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এগিয়েছে অনেক দূর।কালের বিবর্তনে সেই সংগ্রামী জীবন ইতিহাসে পরিনত হয়েছে। বাংলা সংস্কৃতি আমাদের শিকরের সাথে মিশে আছে।নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা পরিবারকে প্রতিষ্ঠা করা, আত্বীয় স্বজন কে প্রতিস্ঠিত করা নিয়ে এসেছেন, এভাবেই বাড়তে থাকে বাঙালিদের দৃঢ অবস্থান।

তৃতীয় বাংলা খ্যাত এই বিলেত। সেই বিলেতে বাংলা সংস্কৃতি কতটা সম্বৃদ্ধ তা এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশীদের অবস্থান ইস্টলন্ডনে সেখানেই গড়ে উঠেছে বাংলা টাউন,কারী ক্যাপিটাল ব্রিক লেইন,আলতাব আলী পার্ক এবং সর্ব বৃহৎ বৈশাখীমেলা বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অবদান।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে থেমে নেই বাংলাদেশরা মেইন স্টিম রাজনীতিতে স্বকীয় ভুমিকা রয়েছে।

করোনাভাইরস মহামারির কারনে ব্রিটেন জুড়ে চলছে লক ডাউন এ জন্য ২০২১ সালের মহান শহীদ দিবসে লন্ডনের আলতাব আলি পার্কের শহীদ মিনার সহ ব্রিটেনের অন্যান্য শহীদ মিনারে গন সমাবেশ করা যাচ্ছে না। গন সমাবেশ না হলে যে যার অবস্থান থেকে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করবে। শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে সেই সব বীর শহীদদের প্রতি।

বিলেতের ইস্ট লন্ডনে আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তৃতীয় বাংলার অন্যতম আবেগের জায়গা। প্রতিবছর মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে মধ্য রাতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে।

এ বছর করোনা এবং সরকারের বিধি নিষেধ থাকার কারনে দিবসের সূচনালগ্ন রাত বারোটা একমিনিটে কোনধরনের শ্রদ্ধা নিবেদন বা সমাবেশ হবেনা।

১৯৯৯ সালে তৃতীয় বাংলার ৫৪ টি সংগঠন প্রাচীনতম বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে এবং টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয় আলতাব আলি পার্কে স্থায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

এই বছর অনুষ্ঠান হচ্ছেনা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার কমিটির সাধারণ সম্পাদক –

-নূরুল ইসলাম।

ইতিমধ্যে ভার্চুয়াল ভাবে বিভিন্ন সংগঠন এই মহান দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

আমরা বাংলাদেশীরা যেখানেই থাকি , যেভাবেই থাকি মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রাণের সাথে মিশে আছে। আমরা সেই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উৎযাপন করবো। আন্তরিক ভাবে পালন করবো।

করোনাভাইরস মহামারির কারনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে এক সাথে খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে অমর একুশের গান গান গেয়ে গেয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে না পারলেও ডিজিটাল যুগে অন লাইনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কোন কমতি থাকবেনা।

সবাই ভালো থাকুন , নিরাপদে থাকুন।

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ অমর হোক।


Similar Posts