| |

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি , আমাদের চেতনায়।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

———-

১৯৫২ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি রাতেই ছাত্র- ছাত্রী ও সাধারন জনতা হাতে হাতে ইট এনে গড়ে তোলা হয় শহীদ মিনার।প্রথমেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় রিরসাওয়ালা আওয়ালের ৬ বৎসরের শিশু কন্যা। এরপরফুলদেন শহীদ শফিক এর পিতা । আনুস্ঠানিক ভাবে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন সর্ববরেন্য সাহিত্যিক আবুল কালাম সামসুদ্দিন।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো থেকে বাংলা ভাষাকে আন্তরজাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙালী জাতির সবচেয়ে বড় পাওয়া। বিশ্বের প্রতিটি দেশে স্বীকৃত হয়েছে বাংলাভাষা। প্রবাসে প্রতিটি দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মাতৃভাষা দিবস। যেখানেই বাঙালিদের বসবাস সেখানেই আয়োজন করা হচ্ছে অনুষ্টান, আলোচনা সভা,সেমিনার,শহীদদের স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ,দোওয়া ও এক মিনিট নিরবতা পালন করে তাদের আত্বার মাগফেরাত কামনা। আজ আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাংলাভাষায় কথা বলতে পারছি এটার সব টুকু তাদের কৃতিত্ব।

বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে । মেইন ডিজাইন সৈয়দ হায়দার এবং আর্কিটেকট হামিদুর রহমান।উচ্চতা ৪৬ ফিট।

জাতীয় শহীদ মিনার অনুস্মরন করে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি স্কুল , কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় – এমনকি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলির সামনেও শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে।

দেশ ছেড়ে প্রবাসেও বিস্তার লাভ শহীদ মিনার বিশ্বের প্রায় সব দেশে শহীদ মিনার আছে। কোথাও স্থায়ী আবার কোথাও অস্থায়ী।যেখানে বাঙালীদের সংখায় বেশী সেখানেই সংগ্রাম করে হোক আর প্রশাসনের সহযোগিতার হোক প্রথমে অস্থায়ী এর পর স্থায়ী এভাবেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে স্থায়ী – অস্থায়ী শহীদ মিনার আছে।ওল্ডহ্যাম শহরে বাঙালিদের প্রথম শহীদ মিনার তবে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের অবস্থিত শহীদ মিনার সবচেয় বেশী আলোচিত ও সমালোচিত এবং প্রতি বছর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ২০শে ফেব্রুয়ারী রাত ১২.০১ মিনিটে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধাজানাতে আসেন হাজার হাজার জনসাধারণ ।

আসেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে , টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

কখনো কখনো রাজনৈতিক শ্লোগান মুখরিত হয়ে উঠে। সবচেয়ে বড় হচ্ছে শিশু কিশোর নারী পুরুষ সকলেই আসেন শ্রদ্ধা জানাতে সবার মুখে মুখে সেই অমর ২১শের গান । আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।

কার্ডিভ শহরে শহরে নির্মিত হচ্ছে ইউরোপের সর্ব বৃহৎ শহীদ মিনার।ইংল্যান্ড ছাড়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে তৈরী করে সকলেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রান পনে চেস্টা করে।সে চেস্টা একেবারেই আন্তরিক।রক্তের বিনিময় আমাদের মাতৃভাষা রক্তের দান কখনো বৃথা যায় না।রক্ত দিয়ে রক্ষা করবো আমাদের মাতৃভাষা এটা আমাদের চেতনা – আমাদের প্রেরনা।


Similar Posts