মর্ডার্নার ভ্যাকসিন করোনার নতুন ভাইরাস
প্রতিরোধেও কার্যকর।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরাস স্তব্ধ করে দিয়ে সারা বিশ্বকে। কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারি থেকে বাঁচার জন্য চেস্টার শেষ নেই। ব্রিটিশ সরকার নিয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ তবে ভাইরাসের রুপ পালটাচ্ছে। নতুন নতুন রুপ ধারন করছে। সেই নতুন রুপের ভাইরাস প্রতিরোধক হিসেবে ভ্যাকসিন হচ্ছে একমাত্র উপায়।
ব্রিটিশ সরকার পরপর তিনটি ভ্যাকসিনকেই অনুমোদন দিয়েছে। এবং প্রয়োগও চলছে ধারাবাহিক ভাবে। এনএইচএস এবং ব্রিটিশ সরকার দিনরাত পরিশ্রম করে জনসাধারনকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেস্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু করোনার ধরন পালটানোর ফলে অনেকটাই বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছে।
তবে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের যে নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে । যেটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে সেই নতুন ভাইরাজটি বিরুদ্ধে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকাটি কার্যকরী বলে দেখা গেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন ওষুধ নির্মাতা কোম্পানির বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাগারের প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই টিকা দেয়ার পর শরীরের ভেতরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার তৈরি হয়, সেটি নতুন ধরনটি শনাক্ত ও ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
তবে টিকা নেয়া মানুষদের ক্ষেত্রে এটি কতটা সত্যি, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার দরকার হবে। বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি। ধারণা করা হয় যে, করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি আগেরটির তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সেটি আগের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরনটি অন্তত ৭০ শতাংশ বেশি হারে বিস্তার ঘটাতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে যে টিকাগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে, সেগুলো করোনাভাইরাসের প্রথমদিকের ধরন ঠেকানোর চিন্তা করে তৈরি করা হয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি নতুন ধরন ঠেকাতেও কাজ করবে, যদিও তা নিয়ে তারা পুরোপুরি নিশ্চিত নন।
যদিও প্রাথমিক কিছু ফলাফলে দেখা গেছে, ফাইজারের টিকাটি যুক্তরাজ্যের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকরী।
মডার্নার এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন আটজনের রক্তের নমুনা নিয়েছেন যারা মডার্নার টিকার দুইটি ডোজই গ্রহণ করেছেন। তাদের গবেষণার ফলাফলের এখনো বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, টিকাটি করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্ত করতে পারে।
ভ্যাকসিনের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যবহার করে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে শরীরের কোষে প্রবেশে বাধা তৈরি করে। যে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে ভাইরাসের নতুন ধরনটি ঠেকাতে যথেষ্ট অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে সেটি ব্রিটেনের ভাইরাসের নতুন ধরন ঠেকাতে যতটা সক্ষম বলে দেখা গেছে।
এখন মডার্না গবেষণা আরো গবেষনা করছে। তারা মনে করেন তৃতীয় আরেকটি ডোজ দেয়া হলে তা উপকারী হতে পারে।সেই সঙ্গে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের মতো তারাও পরীক্ষা করে দেখছে যে, ভ্যাকসিনটি নতুন করে তৈরি করা হলে তা নতুন ধরন মোকাবেলায় আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে ।