মংগলবার থেকে ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে
করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া।তবে পাচ্ছেন কারা?
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারি রোগ প্রতিরোধক জন্য ভ্যাকসিন তৈরী প্রতিটি দেশেই তাদের গবেষকরা গবেষনা করে যাচ্ছেন। এর মধ্য অনেক দেশে পরীক্ষা মূলক কার্যক্রম শেষ করেছেন। কোন কোন কম্পানী তাদের ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শতকরা ৯৫ ভাগ কোন কোন কম্পানী ৯০ ভাগ অথবা এরও নিচে। আমেরিকার ফাইজার কম্পানী ভ্যাকসিন সবার আগে ব্যাপক সফলতার দাবী করছেন।এই জন্য ব্রিটেন ফাইজার থেকে ভ্যাকসিন আমদানী করছে।
ফাইজার-বায়নট্যাকের করোনা ভ্যাকসিনকে সর্বসাধারণে প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ব্রিটেনের দ্যা মেডিসিন্স এন্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি সংক্ষেপে এম-এইচ-আর-এ। এর মাধ্যমে আগামী মংগলবার বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে ব্রিটেনে। ফাইজার কাছে ৪০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়ে রেখেছে ব্রিটিশ সরকার। প্রথম ধাপে এদিনেই আসবে ৮ লাখ ডোজ।
ব্রিটেনে আগামী মংগলবার থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করবে সরকার এর গত বুধবার আমেরিকা থেকে ররওয়ানা হয়ে বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে ভ্যাকসিন পৌছেছে। এরমধ্যে ৮,০০,০০০ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে, “সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী” ব্যবসায়ী সচিব অলোক শর্মা বলেছেন যে বছরের শেষের দিকে আরও কিছু প্রত্যাশিত ফাইজার/ বায়োএনটেক ডোজ উপস্থিত হবে।
এনএইচএস সরবরাহকারীরা বলেছেন, ব্রিটেনকে অবশ্যই এই ভিত্তিতে কাজ করা উচিত যে আরও কিছু মাত্রা “কিছু সময়ের জন্য” চিফ এক্সিকিউটিভ ক্রিস হপসন টুইট করেছেন যে মংগলবার থেকে ভ্যাকসিন শুরু হওয়ার পরে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের গ্রুপগুলিতে যতটা সম্ভব লোককে টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করা।
ফাইজার / বায়োএনটেক করোনা ভাইরাসটির প্রথম চালান বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে এসেছে।ব্রিটেন থেকে অনুস্ঠানিক ভাবে বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে মংগলবার থেকে।
যুক্তরাজ্য ফাইজার / বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের ৪০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে – ২০ মিলিয়ন লোককে টিকা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
ভ্যাকসিনে যারা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন
১/ কেয়ার হোমস,
২/ কেয়ার হোম স্টাফ,
৩/প্রবীণ ব্যক্তি,
৪/ ৮০ উর্ধ বয়সী,
৫/ ফ্রন্ট লাইন স্বাস্হ্য কর্মীরা /
৬/ করোনায় আক্রান্ত রোগীরা,
৭/ বেশী অসুস্থ্য রোগীরা
৮/ পর্যায়ক্রমে পঁচাত্তোর্ধ্ব, সত্তোর্ধ এবং অসহায় রোগিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
৯/ সবার জন্য ভ্যাকসিন পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো অনেক সময়।
১০/ অনেক গবেষকরাই আশা করছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড এর ভ্যাকসিন খুব শীগ্রহই বাজারে আসবে। সেটা হবে সবার জন্য আরো সহজ সাধ্য।
অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে স্থান দেওয়া হয়েছে – যা টিকাদান এবং টিকাদান সম্পর্কিত যৌথ কমিটি দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছে ।
এছাড়াও রয়েছে নানা ধরনের প্রতিকূলত। ফাইজারের ভ্যাকসিন রাখতে হয় ৭০ ডিগ্রী মাইনাসে। এই ভ্যাকসিন রাখার সুব্যাবস্থা ব্রিটেনের সব হাসপাতাল গুলিতে নেই।
এ কারনে সব হাসপাতাল করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবেনা সেখানে কেয়ার হোম গুলিতে দেওয়া অনেক দু:সাধ্য হবে।
প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ২১ দিন পর আবার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।এই ২১ দিনে রোগীর কে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখতে হতে পারে। ভ্যাকসিন আসাতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে আসলে তত সহজ নয়।
এছাড়া ভ্যাকসিন কত দিন কার্যকর থাকবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই ভ্যাকসিনের উপর ভরসা করছে রোগীরা তবে সেই নির্ভরতা কমিয়ে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডাতে হবে।তারপরও ভ্যাকসিন করোনাভাইরস মহামারি থেকে বাঁচার আশার আলো দেখাচ্ছে। এই আশার আলোই বা কম কিসের।