ব্রেক্সিট-পরবর্তী ইইউ এবং ইউকের মধ্যে এক সাথে কাজ করতে চাইলে ও প্রতিবন্ধকতা ডিপ্লোমেটিক সিস্টেম।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ব্রেক্সিট পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পছন্দ মত দেশ গুলির সাথে ইউকে ব্যাবসা সহ অন্যান্য কাজ গুলি করতে চাইলেও প্রধান প্রতিবন্ধকতা বা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ডিপ্লোমেটিক সিস্টেম বা এ্যাম্বাসেটর গনরা।ইইউ এ্যাম্বাস্টররা চাচ্ছেন ইইউ প্রাধান্য। কিন্তু ইউকে যাচ্ছেন দক্ষ শ্রমিক।
ইইউ বাইরে ১৪২ টি দেশের সাথে বানিজ্য চুক্তি সহ বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইউকে। তবে কাছের দেশ গুলির সাথে শর্ত সাপেক্ষে ইউরোপের পছন্দ দেশ গুলির সাথে ব্যাবসায়ী চুক্তি করতে চাইলে ইইউ এ্যান্বাসেটররা প্রতি বাদ করছেন।
ডিপ্লোমেটিকরা বলছেন,”ইইউ শ্রমিকদের জন্য আলাদা নিয়ম করতে হবে।
১/ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স অন জবস উন্নত করতে হবে।
২/ কম বেতনের শ্রমিকদের কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩/ ইইউ এবং ইউকের নাগরিকদের মধ্যে “লেভেল প্লেইন ফিল্ড “ তৈরি করতে হবে। যাতে কোনরকম বৈশম্য না থাকে।
৪/ ব্যাবসার জন্য বাছাই করা দেশের সাথে আলাদা ভাবে চুক্তি করতে প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি করছে। ডিপ্লোমেটিক সিস্টেম।কিন্তু ইউকে যাচ্ছে যাদের প্রয়োজন তাদের সাথে চুক্তি হবে।
সিংগাল মার্কেটে ইইউ এবং ইউকের কাস্টমসের নতুন নতুন নিয়মের কাগজ পত্র ঠিক করতেই পার হয়ে যায় বহু সময় তারপর আবার করোনাভাইরস এর নেগেটিভ সার্টিফিকেটের জটিলতা বাড়তি ঝামেলার সৃস্টি করছে।
বড় বড় নামীদামী ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যাবসার মালপত্র ইউরোপ থেকে ইউকে তে আনতে খরচ বেড়েছেই বহু গুন এজন্য অনেক বড় বড় ব্যাবসা প্রতিস্ঠান পরতে যাচ্ছে মহা বিপদে। পোষাক অর্ডার হয়েছে। তৈরিও হয়েছে এখন ট্রাস্পোর্ট খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসান বেশী হচ্ছে। ডিপ্লোমেটিক ভাবে সমাধান না হলে উভয় দেশেই ব্যাবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এজন্য ইউরোপের অনেক দেশের লরি ড্রাইভাররা ইউকের সাথে ব্যাবসা করতে চাচ্ছেন না।জর্জ সুতাও রোনমানিয়ার প্রায় ৪০ টি কম্পানির মালপত্র লরি ড্রাইভার দিয়ে ইউকে যাতায়াত করতো। বর্তমানে তিনি ইউকের সাথে ব্যাবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন।
হুয়াট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস ১৯৯২ সাল থেকে মাংশ সাপ্লাই দিয়ে আসছে। কাগজ পত্রের ঝামেলায় দীর্ঘ সময় ব্যায় হওয়াতে মালপত্র নস্ট হওয়া সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারনে দীর্ঘ দিনের ব্যাবসা বন্ধ করে দিচ্ছেন এতে বিশাল ব্যাবসায়ী ক্ষতির মুখে পরছে প্রতিস্ঠানটি।
দি রোড হাউলেজ এসোসিয়েশন ডিরেক্টর রড মাইকেইজ বলেন, “এগুলি বুরোক্রেসি বা ডিপ্লোমেটিক কারনে ঝামেলা বেশী সৃস্টি হচ্ছে”।
বৃটিশ বিজনেস সেক্রেটারি কডিমি কাউরেটিং বলেন,”বৃটিশ সরকার ইইউ থেকে কিছু শ্রমিক অতি দ্রুত আনতে চাচ্ছে কিন্তু ইইউ এ্যান্বাসেটররা প্রতিবাদ ও বাঁধার সৃস্টি করছেন।আমরা বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছি ইইউর সাথে ইকোনমিক চুক্তি করতে। সেই সাথে যোগ্য লোককে বেশী বেতনে আন্তে প্রস্তুত কিন্তু অদক্ষ শ্রমিক ব্রিটেনে কোন দরকার নেই।এনএইচএস , এয়ার লাইন্স , কন্কট্রাকশন কাজের জন্য দক্ষ শ্রমিক আনতে বাঁধা বা নিয়মে ফেলে দিচ্ছে ডিপ্লোমেটিক ভাবে”।
দি ফরেন কমোনওয়েন্থ এ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক অফিসের স্পোকম্যান বলেন’”এ্যাম্বাসেটররা বেশী আইন দেখিয়ে লাভ নেই।ভিয়েন্নার কনভেনশন আইন এখানে রাইট পাবে না । রাইট পাবে স্টাফ অফ ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশনের। এরপর ও
প্রতিটি দেশের সাথেই কাজ করতে হবে। সবকিছুই অন গয়িং প্রসেস চলমান আছে এবং থাকবে। সবাইকেই এক সাথে কাজ করতে হবে”।