ব্রেক্সিট ডিল হোক না হোক,
বর্ডার চেক, ট্যাক্স এবং
ট্রাভেলে আসছে পরিবর্তন।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ব্রেক্সিট আলোচনা এখন তুংগে।সময় বাকী মাত্র কয়েকদিন এরই মধ্যে সুন্দর চুক্তিতে পৌঁছতে না পারলে নো ডিল ব্রেক্সিট হবে। ব্রেক্সিটে ডিল বোক বা না হোক ইইউ এবং ইউকের বর্ডারে স্পেশাল ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সকল মানুষ এবং পন্যের বর্ডার চেক হবে। মালামালে ট্যাক্স বসানো হবে।
২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারী ইইউ থেকে ইউকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বের হলেও দীর্ঘ ১১ মাস ব্রেক্সিট সমঝতা চুক্তির জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও বার বার আলোচনায় বসেন দুই পক্ষের নির্ধারিত নেগোসশিয়েট কর্মকর্তারা কিন্তু কোন সমাধানে আসতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইইউ র প্রেসিডেন্ট উরসাল ভেনডের লেইন ও ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী বরিস জনসন ও ডিনারে যোগদান করেন। দীর্ঘ আলোচনা করেন। কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। বয়ে আসেনি কোন সুফল।অনিশ্চয়তায় রয়ে গেছে।
সিদ্ধান্ত না হলেও নিয়ম অনুযায়ী আগামী৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ চুরান্ত ভাবে ব্রেক্সিট হবে। দীর্ঘ ১১ মাসে কোন সমঝতা হয় নাই তবে ইইউর প্রেসিডেন্ট এখনও মনে করেন, অল্প দিনের মধ্যেই চুরান্ত চুক্তি বা ডিল হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন,” অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত গুলি প্রায় সমঝতার মধ্য আছে কিন্তু সমুদ্র সীমানা বা ফিলিম রাইট নিয়েই বড় জটিলতা রয়েছে,”।
অপর দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন,ডিল হতে পারে তবে কোন অর্থ দেওয়া হবে না।
ব্রেক্সিটে ডিল হোক বা না হোক, বর্ডার গুলি কড়াভাবে পাহাড়ার ব্যাবস্থা করা হবে। নজরদারী বাড়ানো হবে।
১/ প্রতিটি মানুষকে চেক করা হবে।
২/ পন্যের প্রতি ট্যাক্স বসানো হবে।
৩/ ফ্রি ভাবে আসার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে পন্যের দাম অনেক বেড়ে যাবে।
৪/ এতে অনেক সময় লেগে যাবে।তাতে বাড়বে যানজট , চেক পোস্ট গুলি ধারন করবে ভিন্নরূপ ।
৫/ ইউরোপ এবং ব্রিটেনের প্রতিটি -এয়ারপোর্ট , নৌ বন্দর, স্থল পথ সহ সব খানেই কঠোর হচ্ছে নজরদারী এবং চেক পোস্ট।এতে হয়রানীর স্বীকার হবে ইউরোপ এবং ব্রিটেনের জনসাধারন ।
ব্রেক্সিটে ডিল হলে সেই নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হবে ইউরোপ এবং ব্রিটেন। না ডিল না হলে দি ওয়াল্ড ডেট ড্রিলের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হবে।