ব্রেক্সিটের পর ইইউ এবং ইউকের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষা সফর থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ব্রেক্সিটের কারনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ গুলির সাথে এক দিকে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে অপর দিকে স্কুল হলি ডে তে শিক্ষা প্রতিস্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ব্রিটেনে বেড়াতে আসতো শিক্ষা সফরে কিন্তু ব্রেক্সিটের কারনে সেই শিক্ষা সফর অনেকটাই বাঁধা গ্রস্ত হচ্ছে এই ব্রিটিশ সরকার হারাচ্ছে বৈদেশিক মূদ্রা বা সরকারের রাজস্ব আয়।
যদিও ব্রেক্সিট চুক্তি অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাগরিকরা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ৯০ দিনের জন্য কোনো প্রকার ভিসা ছাড়াই ব্রিট্নে বা (ইউকে) প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু আইনি জটিলতায় এবং বেশ কিছু নিয়মের ফলে সেটা বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে।
এমন কি চলতি বছরের প্রথম কয়েকমাসে তিন হাজার ২৯৪ জন ইইউ নাগরিককে ইউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ইউকে বর্ডার সার্ভিস বলছে, ইইউ নাগরিকরা ব্রেক্সিট পরবর্তী ইউকেতে ভ্রমনের জন্য সঠিক নিয়ম না জানায় এই সমস্যার হয়েছে।
তবে হোম অফিস তাদের বর্ডার ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছে, যারা ব্রেক্সিট পরবর্তী নিয়ম না মেনেই ব্রিটেনে প্রবেশ করেছে তাদেরকে যেন ডিটেনশন সেন্টারে আটক না রেখে জামিন দেয়া হয়। অভিবাসন নিয়ম অনুসারে ইইউ নাগরিক ইউকে ভ্রমনের আগে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত যে তিনি এই সফরের পরে ইউকে ত্যাগ করবেন। এবং তার ভ্রমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সেখানে থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার অপরাধমূলক কাজে জড়িত হবেন না বলে নিশ্চয়তা প্রধান করতে হয়। আবেদনকারীকে সেখানে থাকা অবস্তায় যাবতীয় খরচের তহবিলের সাথে সম্ভাব্য জরুরি চিকিৎসার পর্যাপ্ত তহবিলও থাকতে হয়।
ব্রিটেন এবং ইইউ এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফর বা ট্রিপ এর জন্য নিয়মকে আরো সহজ করতে হবে। বিশেষ করে ফ্রান্স এবং জার্মানী দের জন্য কেননা প্রতিবছর এই দেশ থেকে শিক্ষা সফর বা ট্রিপে বহু শিক্ষার্থী আসেন সেই সাথে আসেন শিক্ষকরা। ব্রিটেনের ঐতিহাসিক স্থান এমনকি মিউজিয়াম গুলি পরিদর্শন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রয়োজন।এই সব শিক্ষার্থীদের কথা ব্রিটিশ সরকারকে বিশেষ বিবেচনায় আনতে হবে।
একদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা তাদের সফরের মাধ্যমে বাস্তব ধারনা জনমাবে সেই সাথে ব্রিটেন সরকারের রাজস্ব আয় হবে।