ব্রিটেন থেকে বিমান যাত্রীদের বাংলাদেশে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন এবং ব্রিটেনে ফেরত যাত্রীদের,
১০ দিনে সেল্ফ আইসোলেশন বাধ্যতামূলেক ।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরস মহামারি কালীন সময়ে ব্রিটেন এবং বাংলাদেশে যাতায়াতে দুই দেশেই রয়েছে গাইড লাইন্স, করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট এবং নিয়ম না নামলে রয়েছে আইন অনুযায়ী জরিমানা এবং কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা।
ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে যাওয়া যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সময় ৭ দিন করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সময় ৪ দিন থেকে বাড়িয়ে আবার ৭ দিন করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে ২৩ জানুয়ারী শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন নিয়ম ২৫ জানুয়ারী ২০২১ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে ৭ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। হোটেলে থাকার সমস্ত খরচ যাত্রী বহন করতে হবে। যারা ব্যয় বহন করতে অক্ষম অথবা যাত্রী হোটেলে যেতে না চাইলে তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় সরকারের নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারান্টাইন করা হবে।
৭ দিন পরে কভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে মোট ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের জন্য যাত্রীকে ‘হোম কোয়ারানটাইনে’ প্রেরণ করা হবে।
যদি কভিড-১৯ পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হয় তাহলে যাত্রীকে আইসোলেশনের জন্য সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। হাসপাতালের সমস্ত ব্যয় যাত্রী বহন করতে হবে।
অন্য দিকে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেন আসা বিমান যাত্রীদের অবশ্যই ৭২ ঘন্টা আগের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং বাসায় ১০ দিন সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।আইন ভাংগ কারিকে আইনের আওতায় এনে £২০০ থেকে £৬,৪০০ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে যদি জরিমানা দিতে অস্বীকার করে তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা।
করোনাভাইরস মহামারি থেকে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং যাত্রীদের মাধ্যমে যাতে অন্য কেউ আক্রান্ত না হতে পারে তারজন্যই এ কঠিন কঠোর আইনের ব্যাবস্থা করেছে উভয় দেশ।
প্রতি বছর ১৫০০০০ ব্রিটিশ নাগরিক এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ ভ্রমনের জন্য পর্যোটক হিসেবে বা বেড়াতে আসেন কিন্তু করোনাভাইরস মহামারির কারনে এবং আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় গত বছর স্বল্প সংখ্যক পর্যোটক বাংলাদেশ বেড়াতে এসেছিলেন।
আসুন আমরা সবাই স্বচেতনতা অবলম্বন করি। সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলি। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমন বর্জন করি।