ব্রিটেনে স্কুল খোলা নিয়ে ভিন্নমত।সরকার পরেছে বিপাকে।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারির কারনে ব্রিটেনের শিক্ষা ব্যাবস্থায় মারাত্বক হুমকির মধ্যে পরেছে।করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য বার বার লক ডাউনের ফলে স্কুল গুলি বন্ধ রয়েছে । স্কুল বন্ধ থাকার ফলে স্টুডেন্টদের লেখাপড়ার অপূর্নীয় ক্ষতি হচ্ছে।
দি এডুকেশন সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান- রোবেট হালফোন বলেন,” সরকার অতি দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন,” করোনার পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রনের বাইরে।এসময় সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।ভাইরাসের নতুন রুপ আরো মারাত্বক আঁকার ধারন করেছে। যাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশী। এ অবস্থায় স্কুল খোলা হলে সেটা হবে মারাত্বক ভুল সিদ্ধান্ত”।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,”যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষা প্রতিস্ঠান বন্ধ থাকায় স্টুডেন্টদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল গুলি বন্ধ থাকায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। অন লাইন ক্লাস হচ্ছে এবং হোম ওয়ার্কের উপর নির্ভর করে পরীক্ষার নাম্বার দেওয়া হচ্ছে তাতে মেধার বিচার হচ্ছে না। করোনা নিয়ন্ত্রনে এলেই অতি দ্রুত স্কুল খোলা হবে এবং আগামীতে নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া হবে,”।
ইতি পূর্বে জিসিএসি এবং এ লেভেল পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অস্বনতস্টির সৃস্টি হয়। স্টুডেন্টদের আন্দোলন ফলে সরকারকে পরীক্ষার ফলাফল পূনবিবেচনা করতে হয়েছে। এটা সত্যি শিক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
দি এএসসিএল এর হেড টিচার জেওফ বার্টন বলেন,” স্কুল খোলার ক্ষেত্রে শুধু হাফ ট্রাম, স্টার হলি ডে বললে হবে না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে স্টুডেনদের আগামী ভবিষ্যত নির্ভর করছে”.।সঠিক ভাবে শিক্ষা না দিতে পারলে এর ক্ষতি পূর্ন করা যাবে না,”।
স্টুডেন্টদের ঘরে বসে লেখাপড়া সুবিধার্থে যে সব পরিবারের পক্ষে লেপটপ বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজ কেনা সম্ভব হয় নাই সেই রকম হাজার হাজার পরিবারকে লেপটপ বা কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজ দিয়েছে দি ডিপার্টমেন্টাল ফর এডুকেশন। যাতে ঘরে বসে অন লাইনে শিক্ষা গ্রহনে স্টুডেন্টদের কোন সমস্যা না হয়।
অফস্ট্যাড এখন চুপ না থেকে শিক্ষাপ্রতিস্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিবে এমনটাই আশাকরছেন বিশিস্ট জনেরা। শুধু স্কুল পরিদর্শন , গুনগত মান, পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গ্রেড দিলেই হবে না । করোনা কালে ক্লান্তি লগ্নে সরকারকে গঠন মুলুক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।
কন্জেরভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম বাড্রী বলেন,” অবশ্যই স্কুল খোলা হবে তবে এর আগে স্কুলের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারি সবার ভ্যাকসিন দেওয়া হলে। রোড ম্যাপ অনুযায়ী বা ড্যাটা অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।এর পর যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে তবেই স্কুল গুলি খুলে দেওয়া হবে,”।
এডুকেশন সেক্রেটারি গ্যাভিন উলিয়ামসন বলেন,” করোনার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । স্কুল খোলার ১৪ আগেই সবাইকে জানিয়ে দেবে সরকার। স্টার হলি ডের পূর্বেই স্কুল খোলা হতে পারে,”।
হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাথ হ্যাংকক বলেন,” স্টার হলি ডের পরই স্কুল পূনরায় স্কুল খোলা হবে,”।
স্কুল খোলার জন্য স্কুলের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী , স্টুডেন্ট এবং অভিবাবক দের মতামত নেওয়া জরুরি।
স্কুল গুলি বন্ধ রেখে অন লাইনে পড়াশুনার ব্যাবস্থা রয়েছে কিন্তু অনেক ভ্যানারেবল স্টুডেন্ট আছে তাদের অন লাইনে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার দের সন্তানদের অন লাইনে শিক্ষা দেওয়ার সমস্যা হলো তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারছেন না। এই সব বিবেচনায় সরকার যাচ্ছে অতি দ্রুত স্কুল খুলে দিতে। সরকারি দলের বেশীর ভাগ এমপিরা স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে।
করোনাভাইরস মহামারি কালীন সময় স্কুল খোলা নিয়ে রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছেন স্কুল খুলে দিতে আর করোনাভাইরস প্রতিরোধে বিজ্ঞানীরা চাচ্ছে স্কুল বন্ধ রাখতে। স্কুল খোলা নিয়ে ভিন্ন মতের কারনে সরকার পরেছে বিপাকে।