| |

ব্রিটেনে ফারলোর সময় বাড়লো আরো এক মাস।
চলবে
২০২১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারিতে লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য কাজে না যেয়ে ও বা কাজ না করেও ঘরে বসে বেতনের শতকরা ৮০ পারসেন্ট বেতন দিতে তড়িৎ গতিতে সরকার ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের ফারলো স্কীম হাতে নেয় সরকার। এই স্কীমে শ্রমিকরা অত্যান্ত উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু গত ৩১শে অক্টোবর ২০২০ সালে শেষ হয়।

দ্বিতীয় বার জাতীয় লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতা সহযোগিতা অব্যহত রাখার জন্য এই ফারলো স্কীমর সময় বাড়ানো হলো আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত, এখন বাড়ানো হলো আরো একমাস।চলবে ফারলোর এ স্কীম এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত।

বৃটেনের চ্যান্চেলর ঋশি সুনাক বলেন,”অর্থনৈতিক চাঁকা সচল রাখতে, ব্যাবসা প্রতিস্ঠান এবং শ্রমিকদের সহযোগিতা করার জন্য সরকারের ফারলো স্কীমের সময় বাড়ানো হয়েছে,”।

তিনি আরো বলেন “এই শীত মৌসুমে করোনার ভয়াবহতা বেড়ে যাচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে আরো সতর্ক থাকতে হবে।সেই সাথে ব্যাবসা প্রতিস্ঠান গুলিকে রক্ষা করাও সরকারের দায়িত্ব ,”।

তবে প্রথম ফারলো স্কীমের প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতি হয়েছে বলে নিস্চিত করেছে এইচ এম রেভিনিউ এবং এইচ এম আর সি ।

এইচ এম রেভিনিউ এবং এইচ এম আর সি একাউনট্স এডভাইজার কমিটির সেক্রেটারী জিম হার্রা বলেন, “আমরা এজেমশন না করেই করোনাভাইরস মোবাবেলায় শ্রমিক কর্মচারী দের সহযোগিতার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারনে কিছু অসাধু মানুষ দূর্নীতি করতে সুযোগ পেয়েছে।

তবে এইচ এম রেভিনিউ ট্রেজারী ও এইচ এম আর সি অপরাধীদের ধরার জন্য যৌথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন”।

দ্বিতীয় লক ডাউনের সহযোগিতা জন্য অর্থ বা ফারলো যাতে দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে সরকার অনেক স্বচেস্ট রয়েছেন। সরকারের মুখপাত্র বলেন, “যারা ফারলো স্কীমে দূর্নীতি করেছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে,”।

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সিনিয়র ম্যানেজার বলেছেন, “ যদি কেউ এই ফারলো নিয়ে জালিয়াতি বা অপব্যবহার করেন। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে”। ব্যাংকিং ইন্ডাস্টি ট্রেড এসোসিয়েশনের স্পোর পারসন বলেছেন,”এই স্কীম সামগ্রী ভাবে কাজ করবে। এই ইন্ডাস্ট্রি (H M T)ডেভেলপমেন্টের সাথে একযোগে কাজ করবে। সেখানে দূর্নীতির জায়গা নেই”।আর যারা দূর্নীতি করবেন, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা ।

যেসব ব্যাবসা প্রতিস্ঠান করোনার কারনে বন্ধ রাখা হয়েছে । অথবা সীমিত শ্রমিক দিয়ে ব্যাবসা পরিচালিত হচ্ছে। যেসব শ্রমিক কাজ করছেন না বা কাজে আসছেন না বা কাজে আসতে পারতেছেন না সেই সব শ্রমিকদের বেতনের শতকরা ৮০ পার্সেন্ট সরকার ভর্তুকী যা ব্রিটিশ সরকার ফার্লো দিচ্ছে।

এছাড়া স্বাধীন ব্যাবসা বা সেল্ফ ইমপ্লয়মেন্ট দের যারা কাজ করতে পারছেন না বা করোনার কারনে কাজ করা নিষেধ তাদের জন্য পূর্বের মত সরকারি অনুদান দেওয়া হবে।

তবে ২৩ শে সেপ্টেম্বর ২০২০ পূর্বে যারা কাজে ছিলেন বা সেল্ফ ইনপ্লয়মেন্টে ছিলেন। তাঁরাই আগামী বছরের ৩০শে এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত ফারলো পাবেন।

যারা দীর্ঘদিন কাজ করেছেন করোনা মহামারির কারনে কাজ নেই অথবা কাজে যেতে পারছেন না তারা কাজে না যেয়েও সরকারের এই ফারলো স্কীমে বেতনের শতকরা ৮০ পারসেন্ট পেয়ে শ্রমিকরা অনেক উপকৃত হয়েছেন।


Similar Posts