ব্রিটেনে প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে হাই স্ট্রিট শপ।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে ব্রিটেন জুড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০টি হাই স্ট্রিট শপ বন্ধ হচ্ছে।চেইন স্টোর বন্ধ হয়েছে ৪৭০০ টি। এর মধ্যে সিটি সেন্টারের শপ গুলি বেশী সমস্যা রয়েছে।
কন্সুমার মার্কেট লিডার লিজা হোকার বলেন,” ব্যাবসায়ীদের জন্য সরকারি সহযোগিতা অভ্যহত রাখতে হবে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ব্যাবসা প্রতিস্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে শতকরা ৮৩% ডিপার্টমেন্ট স্টোর বন্ধ হয়েছে।
দি লোকাল ড্যাটা কম্পানী ট্রাক রেকর্ড এর তথ্যে উঠে এসেছে ২০০,০০০ হাই স্ট্রিট শপ এবং স্টোর্স অপেরেটেড করা হয়েছে এব মধ্যে রয়েছে। রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, ব্যাংক এবং জীম।
মুলটিপাল রিটেইলার অপেনিংস এ্যান্ড ক্লোজার গবেষনায়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত।
৮৭৩৯ টি দোকান বন্ধ হয়েছে। এবং
৩৪৮৮ টি দোকান নতুন করে অপেন করা হয়েছে। এরমধ্যে ১২০টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বন্ধ হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে লকডাউন পরে লকডাউন শিথিল হলেও সামাজিক দূরুত্ব রয়েছে করোনার আক্রান্ত হওয়ার আতংক সব মিলিয়ে হাই স্ট্রিট শপের চেয়ে অনেকেই অনলাইন শপিং বেছে নিয়েছেন যার ফলে হাই স্ট্রিট শপ গুলির কাস্টমারের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নর্দান আইল্যান্ডের অনেক ব্যাংকের শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।কাস্টমাররা সরাসরি ব্যাংকে না এসে অনলাইনে লেনদেন করছেন। বন্ধ হচ্ছে জীম। শ্রমিক সংকটে বন্ধ হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ব্যাবসা। যদিও টেক ওয়ে ব্যাবসা বেড়েছে। কিছু শপ বা রেস্টুরেন্ট বন্ধ হলে অন্য ট্রেডে নতুন করে খোলা হচ্ছে।
৩০শে সেপ্টেম্বরের পর্যন্ত শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য সরকারি ফার্লো চালু থাকছে এর পর হাই স্ট্রিট শপ গুলির অবস্থা হতে পারে আরো ভয়াবহ। ব্যাবসা প্রতিস্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
তথ্য :- বিবিসি।