| |

ব্রিটেনে “নো জ্যাব নো জব” চালু।বাংলাদেশী কেয়ারার্সদের চাকরী হারানোর আশংকা নেই।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো “নো জ্যাব নো জব” প্রকল্পের বাস্তবায়ন।ভ্যাকসিন না দিলে আর কেয়ারার বা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কাররা কাজ করতে পারবেন না।এই প্রকল্প চাল হওয়ার সাথে সাথে অনেক ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার কাজ হারিয়েছেন।যে সব কেয়ারার বা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কাররা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না তাঁরাই চাকরি হারিয়েছেন।

তবে বাংলাদেশী ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কদের কাজ হারানোর আশংকা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশী কেয়ারার্স এসোসিয়েশনের সব কয়টি সংগঠনের কর্মকর্তারা একই ভাবে আস্বস্থ্য করে বলেছেন। বাংলাদেশী কেয়ারার প্রায় সবাই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন কি অনেকে বোস্টার ডোজ ভ্যাকসিনও নিয়েছেন। সেই কারনে বাংলাদেশী কেয়ারার বা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের কাজ হারানোর আশংকা নেই বললেই চলে।

করোনাভাইরস মহামারি আমাদের বহু শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে ।

নতুন নতুন নিয়ম হচ্ছে আবার সেই নিয়ম গুলি পালনও করতে হচ্ছে কখনো কখনো হাস্যকর মনে হলেও পরে অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। কখনো নিজের ইচ্ছায় আবার কখনো সরকারের আইনের বাধ্যবাদকতায়। সেই গুলি মেনে নিতে হচ্ছে।

করোনাভাইরস থেকে সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই। তাই সরকার সবার জন্য ভ্যাকসিন প্রকল্প গ্রহন করেছে।

ব্রিটিশ জাস্টিজ সেক্রেটারি রুবের্ট বাকল্যান্ড বলেন,” নো জ্যাব নো জব”। কাজ করতে বলে অবশ্য ভ্যাকসিন নিতে হবে।কেউ যদি কভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহন না করেন তবে নতুন করে সে কাজ পাবেন না। এবং প্রতিস্ঠানে থাকা অবস্থায় কভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে অনাগ্রহী হলে সেই প্রতিস্ঠান সেই শ্রমিককে ছাঁটাই পর্যন্ত করতে পারবেন,”।

সেই সাথে আইনি পদক্ষেপ ও নিতে পারা যাবে সেই শ্রমিকের বিরুদ্ধে।এতে বুঝা যাচ্ছে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন। করোনাভাইরস রোগ প্রতি রোধে কতটা নির্ভরশীল।

লিগ্যাল ডিরেক্টর ড্যাভিড সামুয়েল বলেন,” শ্রমিকদের উপর ভ্যাকসিন জোড় করে চাপিয়ে দেওয়া মোটেই আইন সম্মত হবে না। শ্রমিকের কাজের স্থান এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করবে। যদি এমন কোন পজিশনে কাজ হয় অতি অসুস্থ্য রোগীর সাথে কাজ তবে ভ্যাকসিন জরুরী তবে এমন কোন স্থান যদি অতি জরুরী না হয় তবে সেখানে ভ্যাকসিন না দিলে কাজে নিয়োগ পাবেন না বা কাজ চলে যেতে পারে এই নিয়ম অবশ্যই ঠিক হবেনা,”।

সবার জন্য ভ্যাকসিন কার্যকর করতে সরকারে রোড ম্যাপ কর্মসূচী চলছে। ধারাবাহিক ভাবে বয়সকে প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর সবার জন্য ভ্যাকসিন প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভ্যাকসিন না দিয়ে থাকলে নতুন করে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার হতে হচ্ছে।

আসুন আমরা সবাইকে সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম বিধিনিষেধ গুলি মেনে চলি।নিজে করোনা থেকে সুরক্ষিত হই এবং অন্যকেও সুরক্ষিত বা সুস্থ্য রাখতে সহযোগিতা করি। ভ্যাকসিন গ্রহন করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।


Similar Posts