ব্রিটেনে জাতীয় লকডাউনের দ্বিতীয় বার্ষিকতে,
মম বাতি জ্বালিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেন।
মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।
কভিড-১৯ করোনাভাইরস মহামারি এক আতংকের নাম।
২০১৯ নভেম্বরে চীনে প্রথম দেখা দিলেও দ্রুত ছড়িয়ে পরে সারা বিশ্বে। নতুন এই মরণঘাতি ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা পরিকল্পনা করে।
ব্রিটেনে করোনার আক্রান্ত থেকে জনসাধারনকে রক্ষার জন্য ২০২০ সালের ২৩শে মার্চ প্রথম জাতীয় লকডাউন ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। হয়ে যায় সকলে ঘর বন্ধি সেই লকডাউনের ২ বছর পূর্তি।
এত কিছু করার পরও ব্রিটেনে কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬৪১২৩ জন। সংক্ষেপে ১৬৪k আর সারা বিশ্বে মারা গেছেন ৬.১ মিলিয়ন মানুষ। এই সকল মৃত্যু মানুষের জন্য বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন।
কভিড-১৯ মহামারিতে নিহতদের প্রতি শ্রেনী জানাতে ব্রিটেনের প্রতিটি মানুষকে ৮টায় তাদের জানালায় আলো জ্বালাতে বা ফুল প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
এছাড়া ও প্রথম জাতীয় কোভিড -১৯ লকডাউনের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রিটেন জুড়ে ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মহামারীজনিত কারণে যারা মারা গেছেন তাদের জন্য একটি স্মারক কনসার্ট ৭টায় সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রাল, সেন্ট্রাল লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বরিস জনসন বলেছিলেন যে মহামারী চলাকালীন যারা মারা গেছেন তারা “আমাদের হৃদয় ও মন থেকে কখনই বের হবেন না সব সময় মনের সাথে মিশে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী, যিনি ব্যক্তিগতভাবে বার্ষিকী উদযাপন করে বলেন,” যে মহামারীটি বিশ্বজুড়ে যে টোল নিয়েছে তা “অপরিমাপ” এবং রোগীদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে এনএইচএস কর্মীদের “বীরত্বপূর্ণ প্রচেষ্টার” প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি,”।
মধ্যাহ্নে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছিল, যা জীবনের শেষের দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেরি কুরি দ্বারা আয়োজিত বিভিন্ন ইভেন্টের একটি হিসাবে জাতীয় প্রতিফলন।
লন্ডন শহর ছাড়া ও ঘেরকিন, কার্ডিফের সেনেড, গ্লাসগো সেন্ট্রাল স্টেশন এবং বেলফাস্ট সিটি হল হলুদ রঙে আলোকিত করা সহ যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক সহ ৩৫০ টিরও বেশি সংস্থা দ্বারা দিনটি পালন করা হয়।
এছাড়া কভিড-১৯ লকডাউন চলা কালে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় করতালির মাধ্যমে এনএইচএস এর স্টাফদের ধন্যবাদ জানানো হতো।