|

ব্রিটেনে-কার পার্কিং জরিমানায় নিউহ্যাম কাউন্সিল সবার শীর্ষে।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রিটেনের কার পার্কিং এক বিশাল সমস্যা বিশেষ করে লন্ডনে। লন্ডনে কার বা গাড়ী চালানো মানেই জরিমানা খেতে হবে এটা নিশ্চিত।কেউ কম আবার কেউ বেশী। তবে কার পার্কিং করে এক কাউন্সিল থেকে অন্য কাউন্সিল কিম্বা এক কাউন্সিলের অক জোন থেকে অন্য জোনে কার পার্কিং করে জরিমানা খান নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে গত বছর ব্রিটেনে £১০.৬ মিলিয়ন পাউন্ড কার পার্কিং এ জরিমানা করা হয়েছে । এর মধ্যে £৯.৯ মিলিয়ন আদায় হয়েছে।

কার পার্কিং জরিমানার মধ্যে টপ ১০ টি কাউন্সিলের মধ্যে সবার শীর্ষে নিউহ্যাম কাউন্সিল । এই কাউন্সিলে গত বছর ২৩৯০০০ গাড়ী পার্কিং ঠিক মত বা নির্দিষ্ট স্থানে না রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে।

কার পার্কিং এখন অন লাইনে পে করতে হয়।

এর জন্য তিনটি জিনিস প্রয়োজন।

যেমন:-

১/ PCN নাম্বার যে এলাকায় কার পার্কিং করবেন সেই স্থানের পার্কিং সাইনবোর্ড এ প্রথমে টেলিফোন নাম্বার পরে এলাকার কোর্ড নাম্বার দিবেন।

২/ গাড়ীর প্লেট নাম্বার

৩/ আপনার ক্রেডিড অথবা ড্যাভিড কার্ড ডিটেইল্স ।

সাধারনত ভূল স্থানে পার্কিং করার কারনে আপনাকে

£১৩০ পাউন্ড জরিমানা করবে। তবে ১৪ দিনের মধ্যে পরিশোধ করিলে দিতে হবে £৬৫ পাউন্ড।

সিরিয়াস অফেন্সে পার্কিং করলে £৮০ পাউন্ড ১৪ দিনের মধ্যে পরিশোধ করলে £৪০ পাউন্ড।

১৪ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করলে নোটিশ পাবেন। ২১ দিনের মধ্যে পুরা পরিশোধ করিতে হইবে না করিলে আইনের আওতায় চলে যাবে। দিনের পর দিন আপনার জরিমানার পরিমান বাড়তে থাকবে। জরিমান পরিশোধ না করিলে এক সময় বিশাল অংক হয়ে যাবে । ব্রিটেন থাকতে হলে অবশ্যই জরিমান পরিশোধ করতে হবে।এই জন্য কার পার্কিং জরিমান পরিশোধ বা আদায় হয় সবচেয়ে বেশী।

তবে নিউহ্যাম কাউন্সিলের কিছু কিছু স্থানে বা জায়গায় ২ ঘন্টা এবং কিছু কিছু জায়গায় ৩০ মিনিট ফ্রি কার পার্কিং এর ব্যাবস্থা আছে তবে খুবই সীমিত।

অবশ্য DVLA , HMRC , এবং ইলেক্ট্রিক কার গুলিতে পার্কিং চার্চ দিতে হয় না।

লন্ডনের ৩২ টি কাউন্সিলের বাইরে ও গ্লাসগো এবং বার্মিংহ্যাম কার পার্কিং জরিমান এগিয়ে রয়েছে। গ্লাসগো তে জরিমানার পরিমান £৬০ পাউন্ড এবং বার্মিংহ্যাম সিটি কাউন্সিলে কার পার্কিং জরিমানা £৭০ পাউন্ড।

সিটি অফ লন্ডন ডিস্ট্রিক এর নিয়ম সম্পূর্ন ভিন্ন। এখানে কেউ সহজে কার নিয়ে প্রবেশ করেন না।জরিমানা তো পরের কথা কার পার্কিং পাওয়াটাই ভাগ্যের ব্যাপার।এর পর হাজারও ক্যামেরার ফ্লাশ। হবে আপনার জীবন নাস। এখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সবার প্রিয়।অবশ্য আন্ডার গ্রাউন্ড যোগাযোগ খুবই ভালো ।এছাড়া রয়েছে লন্ডনের ঐতিহাসিক লাল বাস।

দি ডার্ডিয়ান এর সাথে স্বাক্ষাৎকারে “লোকাল গভার্মেন্ট এসোসিয়েশন এর স্পোক পারসন মি: ডেভিড বেনার্ড বলেন,” শহরে ট্রাফিক এড়ানো এবং শহরে এলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যাবহারে জনসাধারনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সাথে আরো বেশী কার পার্কিং এর ব্যাবস্থা করা ও প্রয়োজন,”।


Similar Posts