Similar Posts
NHS এর সাথে মানুষিক স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করবে BCA।
যুক্তরাজ্যে কারী শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্সএসোসিয়েশন ( বিসিএ)র উদ্যোগে এনএইচএস এর মানসিক স্বাস্থ্য সেবারএওয়ারনেস ক্যাম্পেইন- টকিং থেরাপিস ( Talking Therapies) সার্ভিস সম্পর্কেরেস্টুরেন্ট কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টায় পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানেউপস্থিত ছিলেন কারী শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটির বিশিষ্টজন, সাংবাদিক ও বিসিএর সদস্যবৃন্দ। বিসিএর প্রেসিডেন্ট ওলী খান এমবিই এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল মিঠুচৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলেধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বিসিএ শুধু কারী শিল্পে নয়ডাইভার্স কমিউনিটিতে নানাবিদ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা ওঅনুপ্রেরণামূলক কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিসিএ বৃটেনেরন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক নতুনএওয়ারনেস ক্যাম্পেইন ‘Talking Therapies’ সার্ভিসগুলো বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টকর্মীরা যাতে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে এনএইচএস এর সাথে কাজ করবে। এনএইচএস পরিচালিত এক সমীক্ষার তথ্যমতে বৃটেনে দক্ষিণ এশিয়ারনাগরিকদের শতকরা ৬৪ ভাগ অর্থাৎ প্রতি ৫জনের মধ্যে তিনজন মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যায় ভুগছেন। যা শুধু ব্যক্তি, পরিবারের মারাত্নক স্বাস্থ্য ঝুকি ও সমস্যানয়। এটা গোটা কমিউনিটির জন্য বড় উদ্বেগের। এনএইচএস সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ দক্ষিণ এশিয়ার বৃটিশনাগরিক যারা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কথা ডাক্তারদের জানিয়ে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন তারা মানসিক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন।যা সমস্যা উত্তোরণেখুব ইতিবাচক একটি দিক। বিসিএ মানসিক স্বাস্থ্যে আক্রান্ত যেমন দূশ্চিন্তা,অতিরিক্ত উদ্বেগ, সামাজিকউদ্বেগ,পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস বা অবসেশন এন্ড কমপালসারি ইত্যাদি সমস্যার জন্য এনএইচএস কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা –‘টকিং থেরাপিস’ এর সাহায্যনেয়ার অনুরোধ করছে। এবং এই বিষয়ে কারী ইন্ড্রাস্ট্রির বিশেষ করে রেষ্টুরেন্টকর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির করতে এনএইচএস এর সাথে একযোগে কাজকরবে। এই সার্ভিসগুলো রোগীর সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাসেবা দিয়ে থাকেন । সেবাগুলো ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে অথবা অনলাইনেবা ফোন কলের মাধ্যমেও নেয়া সম্ভব। মানসিক স্বাস্থ্য সেবাটি সহজে অনলাইনে nhs.uk/talk- অথবা সরাসরিস্থানীয় জিপিতে গিয়ে রেফারেলের তথ্য নিয়ে সেবা নিতে পারবেন। যাদেরইংরেজী ভাষায় দুর্বলতা আছে তারা বহুভাষিক থেরাপিস্ট অথবাকনফিডেনশিয়াল থেরাপিস্ট এর মাধ্যমে বাংলা, হিন্দি, পাঞ্জাবি বা উর্দু সহ বিভিন্নভাষায় এই চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিসিএর প্রেসিডেন্ট ওলী খান এমবিই বলেন, বাংলাদেশী কারি ইন্ড্রাস্ট্রিতে বিশেষ করে রেস্টুরেন্টে কাজের ধরণ হলো-দীর্ঘ কর্মঘন্টায় প্রতিদিন কাজ করতেহয়। এবং কাজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবায় নিশ্চিত করতে হয়।এটা অস্বীকারে সুযোগ নেই যে, রেস্টুরেন্টে কাজের সময় ও ব্যস্ততায় অনেকে পরিবার ও সামাজিকতায় যথাযথ সময় দিতে পারেন না। ফলে স্বাভাবিকভাবেপরিবারের সদস্যদের সাথে তাদের দূরত্ব ও সম্পর্কে অবমূল্যায়ন বাড়ছে। তিনি বলেন, এটা খুবই দূ:খজনক যে, আমাদের অসাবধানতা ও অবহেলারকারণে পরিবারে মারাত্নকভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। যা সরাসরি পরিবারতথা কমিউনিটিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বিসিএ এনএইচএস পরিচালিত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়টিকে সর্ব্বোচ গুরুত্ব দিয়ে এওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’Talking Therapies’ সার্ভিসকে সহযোগিতা করবে। বিসিএ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদেরকে তাদের স্টাফদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশনিশ্চিত করতে কার্যকরি প্রদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে কাজ করে। বিসিএর সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি রেস্টুরেন্টকর্মীদের মাঝে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত বিষয়ে তাদের আরও সম্পৃক্তহওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরী।যাতে রেস্টুরেন্ট কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে কাজ করতে পারে । এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মানসিক কোন সমস্যারকারণ না হয়। বিসিএর পক্ষ থেকে সকল সদস্যদের এনএইচএসি এর ‘টকিং থেরাপিস‘সার্ভিসগুলোর এওয়ারনেস ক্যাস্পেইনে অংশগ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে সেক্রেটারীমিঠু চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কমিউনিটিরবহুজাতিক মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি হবে এবং সকলে সুখিও শান্তিময় জীবন উপভোগ করতে পারবো।